সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐতিহ্যশালী সংসদ ভবন ভেঙ্গে নতুন করে সংসদ ভবন তৈরির প্রয়োজনীয়তা কী ছিল? মোদি সরকার ৯৭১ কোটি টাকা খরচ নতুন সংসদ ভবন তৈরির পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করতেই এই প্রশ্নে বিদ্ধ করছিল বিরোধীরা। এবার তাদের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। দিল্লিতে নতুন সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রজেক্টের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করলেন, পুরাতন সংসদ ভবন ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এবং গণতগাতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারতের আত্মপ্রকাশের সাক্ষী ছিল। আর এই নতুন সংসদ ভবন দেশের ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে ওঠার সাক্ষী থাকবে।
নতুন ভবনের (New Parliament building ) ভূমি পূজনের পর প্রধানমন্ত্রী বললেন, পুরনো সংসদ ভবনের ঐতিহ্যের কথা শিরোধার্য হলেও পুরাতন এই ভবনের আধুনিকিকরণ প্রয়োজন। মোদির কথায়, “এই নির্মাণ ১০০ বছরের পুরাতন। অতীতে বহুবার প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্কার করতে হয়েছে। কখনও ভবনের পাঁচিল ঠিক করতে হয়েছে, কখনও সাউন্ড সিস্টেম ঠিক করতে হয়েছে।অনেক সময় বসার জায়গা বাড়ানোর জন্য দেওয়ালও সরাতে হয়েছে। কিন্তু এই ইমারত এবার জবাব চাইছে। একুশ শতকের নতুন সংসদের প্রয়োজন। নতুন সংসদ ভবনে অনেক নতুন কাজ করা হচ্ছে, যাতে সাংসদদের কাজের পরিধি বাড়বে, ওয়ার্ক কালচারে আধুনিকতা আসবে।
[আর পড়ুন: যাবতীয় বিতর্ককে পিছনে ফেলে নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী]
মোদি বলেন, নতুন ভবন তৈরি হলে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষও। এখন সংসদ চত্বরে সাংসদদের সঙ্গে কথা বলতে এলে সাধারণ মানুষের সমস্যা হয়। জায়গার অভাবে কাজ করতে অসুবিধা হয়। নতুন ব্যবস্থায় সংসদ চত্বরেই সাংসদদের জন্য আলাদা করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলার জায়গা করে দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, আগের সংসদ ভবন বহু ঐতিহ্যের সাক্ষী থাকলেও তা তৈরি হয়েছিল পরাধীন ভারতে। দেশের আগামী প্রজন্ম গর্ববোধ করবে, যে এটা স্বাধীন ভারতে তৈরি হয়েছে। এদিনের বক্তব্যে ভারতে গণতন্ত্রের ঐতিহ্য এবং গুরুত্ব নিয়েও পৃথকভাবে আলোকপাত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ যে মন্দির প্রতিষ্ঠিত হল, তার প্রাণ প্রতিষ্ঠা এখনও বাকি। যেটা করতে হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের এবার নতুন সংকল্প করতে হবে, সেটা হল ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’। প্রত্যেক নাগরিককে প্রতিজ্ঞা করতে হবে, এখন থেকে আমরা যা যা করব, যা যা পদক্ষেপ করব, সবটা দেশের ভালর জন্য। দেশহিতই সর্বোপরি। এটা মাথায় রাখতে হবে। আসুন আমরা শপথ নিই, আমাদের জন্য দেশহিতের থেকে বড় কোনও হিত হতেই পারে না। আমাদের জন্য দেশের অখণ্ডতা ছাড়া অন্য অন্য কিছু বাড়তি গুরুত্ব পেতেই পারে না।” এদিন প্রধানমন্ত্রীর মুখে স্বামী বিবেকানন্দ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথএর কথাও উঠে আসে।