সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯-এর মার্চ মাসে ঋণ প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত হীরে ব্যবসায়ী নীরব মোদিকে (Nirav Modi) লন্ডন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই থেকে তাঁকে দেশে ফেরানোর আরজি জানিয়ে আসছে ভারত। লন্ডনের (London) আদালতে চলছে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি। আর এই শুনানি চলাকালীনই নীরবের আইনজীবী ক্লায়ার মন্টগোমেরি দাবি করেন, অবসাদগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিয়েছে তাঁর মক্কেলের মধ্যে। তাই আদালতের কাছে ভারতে প্রত্যাবর্তনের আরজি খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের (Punjab National Bank) প্রায় ১১,৩০০ কোটি টাকা তছরুপ করে দেশ ছেড়ে পালানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন: ধন্যি পরোপকার! নিজের গয়না বিক্রি করে রূপান্তরকামীদের জন্য জমি কিনলেন মহিলা]
ক্লায়ার আরও দাবি করেছেন যে ভারতে তাঁর মক্কেলের নিরপেক্ষ বিচার সম্ভব নয়। এছাড়াও যেখানে তাঁকে রাখা হবে, মুম্বাইয়ের সেই আর্থার রোড জেলের (Arthur Road Jail) বন্দোবস্ত নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তিনি। মুম্বাইয়ের এই জেলের ১২ নম্বর ব্যারাকে রাখা হবে নীরব মোদিকে। সেখানে তাঁর মানসিক সুস্থতার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে না বলেই তাঁর আইনজীবীর ধারণা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকারের আইনজীবী হেলেন ম্যালকম (Helen Malcom) ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার উপর পূর্ণ আস্থা রাখেন। তিনি বলেন, আদালত যদি চায় তাহলে ভারত সরকারকে জেলের মধ্যে নীরবের মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিতে পারে। ম্যালকম এও মনে করিয়ে দেন যে ভারত সরকার ইতিমধ্যে জেলের নিকটবর্তী তিনটি হাসপাতালের নাম ও তাদের বিবরণ আদালতের কাছে পেশ করেছে। নীরব যদি কোনও কারণে জেলের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন, সে ক্ষেত্রে এই তিনটি হাসপাতালের একটিতে তাঁকে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে। এছাড়াও তিনি আদালতকে জানান যে নীরবের যখন যেরকম চিকিৎসার প্রয়োজন হবে, জেলের মধ্যেও তার ব্যবস্থা করবে সরকার।
নীরবকে ভারতে ফিরিয়ে আনার আরজি জানিয়েছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই (CBI) ও ইডি(ED)। দুই তরফের বক্তব্য শোনার পর বিচারক স্যামুয়েল জানান, নীরবের চিকিৎসক তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, ভারত সেই বিষয়ে জবাব দেওয়ার বিস্তর সুযোগ ইতিমধ্যেই পেয়েছে। এই মুহূর্তে এই পশ্চিম লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ জেলে বন্দি নীরব মোদি।