সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুধু কাগুজে জোট করে নয়। মোদির সঙ্গে লড়াইটা মাঠে নেমেই করতে চান বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। অন্তত তেমনই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে। শোনা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন বাদে লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) লড়তে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তাও আবার উত্তরপ্রদেশে। মোদির বারাণসীর কাছের এক কেন্দ্র থেকে।
জেডিইউ (JDU) সূত্রের খবর, নীতীশ জাতীয় রাজনীতিতে পা রাখার উদ্যোগ নিতেই দলের একটা অংশ তাঁকে লোকসভায় প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। জেডিইউ নেতৃত্বের একাংশের ধারণা, মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে উত্তরপ্রদেশ থেকেই শুরু করতে হবে। কারণ সেখান থেকেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সাংসদ লোকসভায় যান। এখনও উত্তরপ্রদেশে প্রায় ৬৫ জন সাংসদ রয়েছেন বিজেপির। জেডিইউের সভাপতি লাল্লন সিং জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশের দলীয় কর্মীরাও চাইছেন নীতীশ সে রাজ্যে গিয়ে লোকসভা ভোটে লড়ুন।
[আরও পড়ুন: টাকার দাম ধরে রাখতে গিয়ে বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে টান, ভয়াবহ সংকট দেখছেন অর্থনীতিবিদরা]
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে জেডিইউ কর্মীরা চাইছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar), ফুলপুর, আম্বেদকর নগর এবং মির্জাপুরের মধ্যে কোনও একটি আসন থেকে লোকসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন। এর মধ্যে ফুলপুর আসনটি আবার মোদির লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরের। নিজেকে প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতে হলে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এই কেন্দ্রটি নীতীশের জন্য আদর্শ বলে মনে করছে তাঁর দল। কিন্তু সমস্যা হল বিহারের বাইরে বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশে জেডিইউয়ের তেমন প্রভাব বা সংগঠন কোনওটাই নেই। সেক্ষেত্রে এই ফুলপুর কেন্দ্র থেকে লড়তে হলে অখিলেশ যাদবের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে জেডিইউ নেতাকে। যদিও সূত্রের খবর, অখিলেশ (Akhilesh Yadav) নাকি ইতিমধ্যেই নীতীশকে জানিয়ে দিয়েছেন, ফুলপুর থেকে তিনি প্রার্থী হলে তাঁকে সমর্থন করবে সমাজবাদী পার্টি।
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে দেশে লাগাতার ঊর্ধ্বমুখী করোনার অ্যাকটিভ কেস, চিন্তা পজিটিভিটি রেটেও]
ঘটনাচক্রে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসও। এরাজ্যের শাসক দল মোদির বিরুদ্ধে কোনও হেভিওয়েট প্রার্থী দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বারাণসীতে প্রচারে যাবেন বলেও ঘোষণা করেছেন। সেক্ষেত্রে নীতীশ এবং মমতা (Mamata Banerjee) দুই শিবিরের উত্তরপ্রদেশ যাত্রা সেরাজ্যের রাজ্য রাজনীতিকে আরও জমজমাট করবে তাতে সন্দেহ নেই।