সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হালাল, হিজাব, লাভ জেহাদ। গত এক দেড় বছরে কর্ণাটকের রাজনীতিতে এই শব্দগুলিই ছিল সবচেয়ে পরিচিত এবং জনপ্রিয় শব্দ। ক্ষমতায় ফিরেই পুলিশের অভিধান থেকে এই শব্দগুলি ছুঁড়ে ফেলে দিতে চাইছেন সেরাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। পুলিশ প্রশাসনকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও অপরাধীকে ধর্মের আয়নায় দেখা যাবে না। বা কারও উপর নীতি পুলিশগিরি করা চলবে না।
বস্তুত, ভোটের আগেই কংগ্রেস (Congress) ঘোষণা করে দিয়েছিল, ক্ষমতায় ফিরলে পিএফআই এবং বজরং দলের মতো উগ্র ধর্মীয় সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করা হবে। সরকার শপথ নেওয়ার পর দিন চারেক হয়েছে, এখনও সরাসরি বজরং দলের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করলেও ঘুরিয়ে তাঁদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন সিদ্দা। তিনি পুলিশকে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যে আর নীতি পুলিশগিরি চলবে না। পুলিশকে হতে হবে মানুষের বন্ধুর মতো।
[আরও পড়ুন: চাই শুধু দীপিকাকে, বলিউডের ‘মস্তানি’তে মজেছেন ক্রিস গেইল ]
আসলে বিজেপির (BJP) আমলে কর্ণাটকে বজরং দলের বাড়বাড়ন্ত ছিল দেখার মতো। হিজাব, লাভ জেহাদ বা হালাল মাংস নিয়ে যা যা বিক্ষোভ হয়েছে সবকিছুর নেপথ্যেই ছিল বজরং দল (Bajrang Dal)। অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ অপরাধের সঙ্গে অপরাধীর ধর্মীয় পরিচয় জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা দেখা যেত। সেসব এবার বন্ধ করতে চায় নবগঠিত কংগ্রেস সরকার। সিদ্দারামাইয়ার দাবি, “পুলিশ আর অপরাধীদের ধর্মের আয়নায় দেখবে না। সব অপরাধকেই সমান গুরুত্ব দেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: শুটিং চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত জনপ্রিয় অভিনেতা নীতেশ পাণ্ডে]
মঙ্গলবারই কর্ণাটক পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার (DK Shivakumar)। তাঁরা পুলিশ আধিকারিকদের সাফ জানিয়ে দিয়েছেন,”শুধু অপরাধীর ধর্ম দেখে যদি কোনও থানা ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে তার দায় সেই থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের তো বটেই, সেই সঙ্গে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারেরও।”