সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির কলেজের হস্টেল ও ক্যন্টিনে বন্ধ হল আমিষ খাবার। সেখানে শুধুমাত্র নিরামিষ খাবার মিলছে। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের (Delhi University) নিয়ন্ত্রণাধিন হংসরাজ কলেজের (Hansraj College) এই ঘটনায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও অধ্যক্ষার দাবি, পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনার পরেই কলেজ কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও ছাত্র-ছাত্রীদের একাংশের দাবি করেছে, আমিষ খাবার নিয়ে আপত্তি করা উচিত নয় কলেজের।
সংবাদ সংস্থা এএনআই (ANI) দাবি করেছে, কোভিড (Covid 19) মহামারীরা কারণে লকডাউনে বন্ধ ছিল কলেজ। এর পর নতুন করে খোলার পর থেকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিলছে না আমিষ খাবার। কলেজের ক্যান্টিন এবং হস্টেলে কেবলমাত্র নিরামিষ খাবারই মিলছে। যদিও কলেজে শুধুই নিরামিষ খাবার পাওয়া যাবে, মাছ-মাংস-ডিম মিলবে না, এমন কোনও বাধাধরা নিয়ম নেই। কলেজের অধ্যক্ষা রমা দাবি করেছেন, বিগত ৩-৪ বছর ধরেই তাঁদের কলেজে নিরামিষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যদিও আমার নির্দিষ্ট করে মনে নেই কবে আমিষ খাবার বন্ধ হয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তবে কলেজ কমিটি বোধ হয় পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার পরেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: নেপালে বিমান দুর্ঘটনার দিনই হেলিকপ্টার বিভ্রাট, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর]
সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দিল্লির এই সরকারি কলেজে বেশির ভাগ পড়ুয়া দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। তাঁদের অনেকেই কলেজে আমিষ খাবার বন্ধ হওয়াকে ভাল ভাবে নেননি। এক পড়ুয়া দাবি করেছেন, এর ফলে অসুবিধায় পড়েছেন দক্ষিণ ভারত থেকে আসা আমিষাশী ছাত্র-ছাত্রীরা। তিনি বলেন, একটা সময় হোস্টেল ও ক্যান্টিন সবখানে আমিষ এবং নিরামিষ দু’রকম খাবারই মিলত। পড়ুয়াদের একাংশের বক্তব্য, যার যে খাবার পছন্দ সে তাই খাবে, এমনটা হওয়া উচিত ছিল।
[আরও পড়ুন: উত্তর-পূর্বের সংগঠনে জোর, চলতি মাসেই ত্রিপুরা যেতে পারেন মমতা-অভিষেক]
যদিও কলেজের অধ্যক্ষা এই অভিযোগ মানতে চাননি। তাঁর মতে সিংহভাগ পড়ুয়া কলেজে নিরামিষ খাবার পরিবেশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে এক পড়ুয়ার যুক্তি, কলেজে আমিষাশীদের সংখ্যা কম। তারা বাইরে গিয়ে পছন্দের খাবার খেতে পারেন। নিরামিষ খাবার নিয়ে তাদের আপত্তি নেই। যদিও কলেজের এমন সিদ্ধান্তে পেছনে গেরুয়া প্রভাব রয়েছে বলে অনেকের দাবি। উল্লেখ্য, গত বছর জেএনইউতে আমিষ-নিরামিষ খাবার নিয়ে গেরুয়া ও বাম মনোভাবাপন্ন ছাত্রদের মধ্যে গোলমাল বেধেছিল।