সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার সম্পর্কিত কোনও ‘মিথ্যা’ বা ‘বিভ্রান্তিকর’ বিষয়বস্তু নিয়ে ভুয়ো খবর শনাক্ত করার জন্য যে প্যানেল, তা আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত কার্যকর রাখা হবে না। বম্বে হাই কোর্টে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভুয়ো খবর চিহ্নিতকরণে তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে কেন্দ্র যে সব সংশোধন করেছে, তা নিয়েই সম্প্রতি বম্বে হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন কমেডিয়ান কুণাল কামরা (Kunal Kamra)। তারই প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত।
বিচারপতি গৌতম এস প্যাটেল এবং বিচারপতি লীলা কে গোখলের বেঞ্চে সম্প্রতি কুণাল কামরার মামলার শুনানি হয়। কমেডিয়ানের আইনজীবী নভরোজ সেরভাইয়ের যুক্তি ছিল, তথ্য ও প্রযুক্তি আইনে যে সংশোধন আনা হয়েছে, তা ডিজিটাল মিডিয়া কোড এথিক্সের নামে আদতে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক অতীতের রায়কে লঙ্ঘন করছে। আদৌ সরকারি ফ্যাক্ট চেকিং (Fact Checking) প্যানেল আইনের চোখে বৈধ হতে পারে? এই প্রশ্নও তোলা হয়। আইনজীবীর আরও বক্তব্য, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সংশোধনের কথা বলে রাষ্ট্র এবং কোনও ব্যক্তিবিশেষের সমালোচনার অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এই আইন প্রয়োগ করে একজন শিল্পীকে তাঁর শিল্পকর্ম থেকে বিরত রাখা যায় কি?
[আরও পড়ুন: ‘রাম-ভক্ত’ প্রযোজক, ‘আদিপুরুষ’-এর ১০ হাজার টিকিট দিচ্ছেন বিনামূল্যে]
তথ্যপ্রযুক্তি আইনে সংশোধনের প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়, সরকার সম্পর্কিত কোনও ‘মিথ্যা’ বা ‘বিভ্রান্তিকর’ বিষয়বস্তু নিয়ে ভুয়ো খবর শনাক্ত করার জন্য একটি প্যানেল নিয়োগ করা হবে, যারা প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোকে ফেক নিউজ চিহ্নিতকরণে সহায়তা করবে। এরপর তথ্য যাচাই করে তা ভুয়ো প্রমাণিত হলে টুইটার এবং ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে সংশ্লিষ্ট কন্টেন্টটি সরিয়ে নিতে বলা হতে পারে।