সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল চিন। তাইওয়ানের (Taiwan) বিদেশমন্ত্রীর সাংক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে সেখানে। আর তাতেই বেজায় চটেছে বেজিং। তাদের দাবি, ওই সাক্ষাৎকার তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন করেছে। পাশাপাশি ‘ভুল তথ্য’ও পরিবেশন করা হয়েছে। চিনকে পালটা দিয়েছে তাইওয়ানও।
ঠিক কী জানিয়েছে চিন? ভারতে অবস্থিত চিনা (China) দূতাবাসের তরফে যে বিবৃতি পেশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, ‘গত ২৯ ফেব্রুয়ারি এক ভারতীয় টিভি চ্যানেলে তাইওয়ানের বিদেশ দপ্তরের প্রধান জোসেফ উ-এর সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করেছে। যা তাঁর জন্য একটা মঞ্চ করে দিয়েছে, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা ‘র হয়ে কথা বলার এবং ভুয়ো তথ্য পরিবেশনের।
[আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বন্ধ স্কুলের পঠনপাঠন, কমিশনকে চিঠি ব্রাত্য বসুর]
এক্ষেত্রে এক-চিন নীতির গুরুতর লঙ্ঘন হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত।’ এই বিবৃতির জবাবে চিনকে একহাত নিয়েছে তাইওয়ান। তাদের তরফে পালটা বিবৃতি পেশ করে বলা হয়েছে, ভারত ও তাইওয়ানে গণতন্ত্র রয়েছে। তাদের সংবাদমাধ্যমেরও স্বাধীনতা রয়েছে। তাইওয়ান কোনওভাবে চিনের ‘হাতের পুতুল’ নই।
উল্লেখ্য, ভারত বরাবর ‘এক চিন নীতি’ অনুসরণ করে এসেছে। তাইপেইয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির কোনও কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। কী এই ‘এক চিন নীতি’? যেখানে বলা হয়েছে, বিশ্বে একমাত্র একটাই চিন। তাইওয়ান চিনেরই অংশ। এবং চিনের সরকারই সমগ্র চিনের আইনি প্রশাসক। যদিও এই বশ্যতা স্বীকার করতে রাজি নয় বলেই বার বার জানিয়েছে তাইওয়ান।