কৃষ্ণকুমার দাস: মাস শেষেই ভবানীপুরে উপনির্বাচন। বুধবার থেকে ভোটপ্রচারে নামলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভবানীপুরে তাঁর প্রথম কর্মিসভার মঞ্চে ঘটে গেল এক অভাবনীয় ঘটনা। মঞ্চে হাজির হলেন স্থানীয় প্রাক্তন বাম নেতা বাদল দাশগুপ্ত। শুধু হাজির হলেন তা নয়, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী করার ডাক দিলেন তিনি।
বুধবার ছিল ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম কর্মিসভা। তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য শুরুর আগেই মঞ্চে হাজির হন বামপন্থী নেতা বাদল চট্টোপাধ্যায়। বয়স ৮৪ বছর। বয়স থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরে। কাঁপা কাঁপা গলায় মমতার জয়গান করেন তিনি। মঞ্চে উঠে হাতজোড় করে তৃণমূল নেত্রীকে প্রণাম জানান প্রাক্তন বামনেতা। সৌজন্য দেখাতে এগিয়ে আসেন তৃণমূল নেত্রীও।অশীতিপর বাদলবাবুর হাত ধরে স্বাস্থ্যের খবর নেন মমতা। তাঁর সুস্বাস্থ্যের কামনা করেন তিনি।বাদলবাবু অনুরোধ করেন, ওই মঞ্চ থেকে তিনি কিছু বলতে চান।
[আরও পড়ুন: ‘নির্বাচনে আমাকে আবার দাঁড়াতে হল ওঁদের ষড়যন্ত্রের জন্য’, ভবানীপুরে কর্মিসভায় বিস্ফোরক মমতা]
এর পরই রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম তাঁকে মাইকের কাছে নিয়ে যান। এর পরই তৃণমূল নেত্রীর নামে জয়ধ্বনি করেন তিনি। বলেন, “আমি একজন প্রবীণ মানুষ। আমার বয়স ৮৪ বছর। আমার একটাই অনুরোধ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়যুক্ত করুন।” তিনি আরও বলেন, “উনি তো গোটা রাজ্য জিতে বসে আছেন। তাহলে আবার কেন ওঁকে লড়াই করতে হবে? ওঁর বিরুদ্ধে কেউ দাঁড়াবে কেন? সমস্ত রাজনৈতিক দল এবং সংগ্রামী মানুষদের কাছে আমার অনুরোধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়যুক্ত করুন।”
এ প্রসঙ্গে বলে রাখা ভাল বাদল চট্টোপাধ্যায় এলাকায় পরিচিত বামনেতা। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও বাম সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তবে দল ছেড়েছেন তিনি। উপনির্বাচনের আগে সেই অশীতিপর বামনেতার গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়গান তাৎপর্যপূর্ণ।