সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ চিনা সংস্থা শাওমির (Xiaomi) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল ইডি (ED)। ওই সংস্থার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৫, ৫০০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। এবার জানা গেল, আরও দুই চিনা স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে। আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে জিটিই (ZTE) ও ভিভো (ViVo) বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, শাওমির তদন্তের সূত্রেই জিটিই ও ভিভোর অনিয়মের বিষয়টি নজরে পড়ে তদন্তকারীদের।
ভারতের করপোরেট বিষয়ক মন্ত্রনালয় (Ministry of Corporate Affairs) সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই চিনা স্মার্টফোন কোম্পানির বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ মিলেছে। বেশ কিছু নথি পর্যবেক্ষণের পরেই মনে করা হচ্ছে আর্থিক জালিয়াতি করেছে সংস্থা জিটিই ও ভিভো। চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই ভিভো বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। এরপর আর্থিক কেলেঙ্কারি বিষয়ে সংস্থা জিটিইকে নিয়েও জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করতে বলা হয় মন্ত্রণালয়ের তরফে।
[আরও পড়ুন: ‘তোমরা একা নও’, কোভিডে মা-বাবা হারানো ৪ হাজার শিশুকে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী]
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে শাওমি টেকনোলজি ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের (Xiaomi Technology India Private Limited) বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে ইডি। সংস্থাটি এদেশে এমআই (MI) ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন বিক্রি করে। তাদেরই একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৫ হাজার ৫৫১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বেআইনি ভাবে টাকা সরানোর অভিযোগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল ইডির গোয়েন্দারা।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিডিও ও ছবি ফাঁস! অভিযোগ এড়াতে ফুটেজের এনভেলাপ ফেরাবে হিন্দুপক্ষ]
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে চিন-ভারত সীমান্তে দুই দেশের সেনা সংঘর্ষের পর থেকেই দেশে চিন সংস্থাগুলির কার্যকলাপ নজরে দিল্লির। এরপর ২০০ চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। এর মধ্যে আলিবাবা, টিকটক, শাওমি ফোন অ্যাপও রয়েছে। অন্যদিকে চিনা ঋণাদানের অ্যাপগুলির উপরেও নজর রয়েছে কেন্দ্রের। স্বল্প আয়ের নাগরিকদের এক্ষেত্রে টার্গেট করা হচ্ছে। অভিযোগ, ওই লোন অ্যাপ সংস্থাগুলি ভারতীয় নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য চিনা শাখাকে পাচার করছে।