সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীতীশ কুমারদের (Nitish Kumar) মতো কেন্দ্রের ডাকা নীতি আয়োগের বৈঠকে গেলেন না ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও। সরাসরি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ না করলেও ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে শনিবারের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন নবীন। যা নিঃসন্দেহে রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় কেন্দ্রের আঘাত-সহ একাধিক ইস্যুতে নীতি আয়োগের বিরোধিতার পথ প্রথম দেখান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর দেখানো পথেই হাঁটেন আরও সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক বয়কট করেন নীতীশ কুমার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অশোক গেহলট, এম কে স্ট্যালিন, সিদ্দারামাইয়া, ভগবন্ত সিং মান, পিনারাই বিজয়নরা। এ পর্যন্ত প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু এরপর জানা গেল ব্যস্ততার কারণে বৈঠকে থাকবেন না নবীন পট্টনায়েকও (Naveen Patnaik)। যা নতুন করে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে। তাহলে কি দ্বিমুখী নীতি নিয়ে চলছেন নবীনবাবু? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন: রেকর্ড সময়ে নির্মাণ নয়া সংসদ ভবনের, বয়কট নয়, প্রশংসা করুন, বিরোধীদের বললেন গুলাম নবি]
বস্তুত কেন্দ্রের নীতি আয়োগ বৈঠক নিয়ে অভিযোগ বহু। এবারের বৈঠকে স্বাস্থ্য, মহিলাদের ক্ষমতায়ণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার কথা রয়েছে৷ এছাড়াও ২০৪৭ সালের মধ্যে কীভাবে ভারতকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বৈঠকের এজেন্ডাও দিল্লি তৈরি করেছে। সেগুলি মূলত মোদি (Narendra Modi) সরকারের কর্মসূচি। এবারও যেমন পিএম গতিশক্তি, বিকশিত ভারত-২০৪৭, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশে কেন্দ্রের পরিকল্পনা আলোচ্য সূচিতে রয়েছে। অথচ, আগের যোজনা পরিষদ বা বর্তমান নীতি আয়োগের মূল ভাবনায় ছিল রাজ্যগুলিকেও সমানভাবে তাদের বক্তব্য তুলে ধরার সুযোগ দিতে হবে। সেই প্রক্রিয়া থেকে নীতি আয়োগ সরে গিয়েছে বলে অবিজেপি রাজ্যগুলির অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: শালবনি হাসপাতালে সারপ্রাইজ ভিজিট মুখ্যমন্ত্রীর, নাম দিলেন সদ্যোজাত শিশুর]
আগের যোজনা পরিষদের তুলনায় নীতি আয়োগের বহু ক্ষেত্রে মৌলিক ফারাকের একটি হল প্রতিষ্ঠানটি ক্রমে প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রবীণ মুখ্যমন্ত্রীদের অনেকেই মনে করছেন, শুধু প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য গোটা একটি দিন এবং সরকারি টাকা খরচের অর্থ হয় না। পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাবদ মোদি (Narendra Modi) সরকার অবিজেপি রাজ্যগুলির প্রাপ্য আটকে দিয়েছে নানা অভিযোগ তুলে। রাজ্য সরকারগুলিতে সাজা দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সুবিধা থেকে বঞ্চিত করছে। নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রকল্পগুলি কথা হলেও টাকা আটকে দেওয়ার কেন্দ্রের একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়ে নীতি আয়োগের কিছুই করণীয় নেই।