সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের (Coromandel Express) ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ছিন্নভিন্ন হয়েছিল বহু যাত্রীর দেহ। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে দেহাংশ। এখনও চলছে মৃতদেহ শনাক্তকরণ। এরই মধ্যে রেল পুলিশের তরফে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানানো হয়েছে, মৃতদের মধ্যে অন্তত ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন তড়িতাঘাতে।
বালেশ্বরে রেল পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছে একাধিক এফআইআর (FIR)। আর তাতেই ইঙ্গিত মিলেছে যে বেশ কয়েকজন যাত্রী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। গত শুক্রবার সন্ধেয় শালিমার থেকে চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসটি লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে মালগাড়ির ওয়াগনের উপর উঠে যায়। তারপরই এদিক-সেদিক ছিটকে যায় ট্রেনের কামরা। দু-একটি কামরা আবার গিয়ে ধাক্কা দেয় হাওড়া গামী যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেসের দুটি কামরায়। যার জেরে লাইনচ্যুত হয় সেই দুটি কামরা।
[আরও পড়ুন: ‘শিক্ষা বিক্রয়যোগ্য পণ্য হতে পারে না’, বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধি নিয়ে কড়া বার্তা হাই কোর্টের]
জানা গিয়েছে, এই ভয়ংকর দুর্ঘটনার সময় ওভারহেডের তার ছিঁড়ে তড়িতাঘাতে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৪০ জনের। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ট্রেন লাইনচ্যুত হতেই ওভারহেডের তার ছিঁড়ে পড়েছিল। আর তাতেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তাঁরা।
তিন ট্রেন দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে ২৭৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। কমপক্ষে ১০০টি দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এগারোশোরও বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বহু। কোথায় ছিল গাফিলতি, কোন ত্রুটির জেরে এমন ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গেল, তা তদন্তর দায়িত্ব পেয়েছে সিবিআই।