সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রযুক্তি ও প্রকৃতির সম্পর্ক যেন ব্যস্তানুপাতিক। তাই মানব সভ্যতা যত যান্ত্রিক হয়ে উঠছে, ততটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃতি। প্রকৃতিকে জয় করার চেষ্টায় নিজেদের ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে মানুষ। সম্প্রতি এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এক ভয়ানক তথ্য। রকেট উৎক্ষেপণের ফলে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে ওজোন স্তর ও আয়নোস্ফিয়ারে।
[বড় সাফল্য বিজ্ঞানীদের, মঙ্গলে পাড়ি বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী রকেটের]
‘Ars Technica’ নামের একটি প্রযুক্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইট সূত্রে খবর, ২০১৭ সালের আগস্টে ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটের উৎক্ষেপণ করে ‘SpaceX’। এর ফলে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল আয়নোস্ফিয়ার। মার্কিন গবেষক তথা শিল্পপতি এলন মাস্ক-এর সংস্থাটির ওই রকেট আয়নোস্ফিয়ারের প্লাজমা স্তরে ৫৫৯ মাইল ছিদ্র করে দেয়। প্রচণ্ড গতিতে ছুটে চলা ‘ফ্যালকন ৯’ আয়নোস্ফিয়ারে ‘ম্যাগনেটিক স্টর্ম’-এর মতোই তুফান সৃষ্টি করে। তার ফলেই সৃষ্টি ওই বিশাল ছিদ্রের। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ছিল ওই ছিদ্র। ফলে সূর্যের মারাত্মক অতিবেগুনি রশ্মি আছড়ে পড়ে পৃথিবীর বুকে। এছাড়াও সৃষ্টি হয় অন্যান্য সমস্যার। উল্লেখ্য, সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি আটকে দেয় ওজোন স্তর ও আয়নোস্ফিয়ার। ওই রশ্মি ক্যানসারের মতো ভয়াবহ রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
ওই ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে ফ্যালকন ৯-এর বিশেষ গতিপথের জন্যই ওই সমস্যা সৃষ্টি হয়। অন্যান্য রকেটের তুলনায় এই রকেটটির ‘পে-লোড’ বা ভার হালকা থাকায় প্রায় ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে মহাকাশের উদ্দেশে পাড়ি দেয় ফ্যালকন ৯। সাধারণত এই গতিপথ এড়িয়ে চলে অন্যান্য রকেট। কেননা ৯০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে উড়ান ভরলে আয়নোস্ফিয়ারের ক্ষতি হয়। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লালগ্রহের উদ্দেশে ডানা মেলে বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী রকেট ‘ফ্যালকন হেভি’। এই রকেটটিও SpaceX-এর তৈরি। প্রায় ১৮ টি ‘৭৪৭ জেট’ বিমানের সমান ক্ষমতা রয়েছে এই রকেটের। সংস্থাটির দাবি, এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী কার্যক্ষম রকেট হচ্ছে ‘ফ্যালকন হেভি’। এতে রয়েছে ২৭টি ইঞ্জিন ও ৩টি বুস্টার।
সব মিলিয়ে, চাঁদে পা দিয়েছে মানুষ। লালগ্রহে উপনিবেশ গড়ার স্বপ্নও দেখা হচ্ছে। তবে মহাকাশের টানে সবুজ গ্রহ একদিন রং হারাতে পারে বলেই সাবধানবাণী দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
[বিশ্বের সবচেয়ে হালকা উপগ্রহ নিয়ে রওনা দিল ইসরোর রকেট]
The post সভ্যতার সংকট, রকেট উৎক্ষেপণে মারাত্মক ক্ষতি ওজোন স্তরে appeared first on Sangbad Pratidin.