স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া: সকালেই নিঝুম এলাকা। সন্ধ্যাতেই জমাট অন্ধকার! তার উপরে বর্ষার রাত। গাছগুলি ঝুকে পড়ে আলোর পথ কিছুটা আটকেছে। আলো-আঁধারির ফাঁকা রাস্তায় যেতে এমনিই গা ছমছম করে। এমন অবস্থায় ওই রাস্তা ঘিরেই ছড়িয়েছে ভূতের আতঙ্ক! বাসিন্দাদের দাবি, শুনশান রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে অশরীরী ছায়া। কারোর কারোর দাবি, সেই ছায়া তাঁরা দেখেছেন। কারোর দাবি, তাঁরা অনুভব করেছেন! আর এসব দেখে শুনেই ভয়ে কাঁটা গোটা পাড়া। জলাজমি ঘেরা ডোমজুড়ের নস্করপাড়ায় এখন অশীরীর আতঙ্ক।
পাড়ার বাসিন্দাদের মুখে এই কথা শুনে নিজের বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখেন হাওড়া আদালতের আইনজীবী এলাকার বাসিন্দা শিবশঙ্কর দাস। সেই ফুটেজ দেখে তাঁর চক্ষু ছানাবড়া! ক্যামেরায় নাকি ধরা পড়েছে, ঠিক যেভাবে একজন মানুষ রাস্তা দিয়ে হাঁটেন, তেমনভাবেই কালো ধোঁয়াটে একটি অবয়ব গাছের পিছন থেকে আইনজীবীর বাড়ির দরজার কাছে এসে থমকে দাঁড়ায়। সিসি ক্যামেরায় আরও দেখা গিয়েছে, ঠিক সেই সময় একটি ইঞ্জিন ভ্যান ওখান দিয়ে যেতেই সেই ছায়াটি আশ্চর্যজনকভাবে যেন কোথায় মিলিয়ে গেল! এই দৃশ্য দেখেই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে ওই আইনজীবীর পরিবার ও এলাকার বাসিন্দাদের। বুধবার আইনজীবী শিবশঙ্করবাবু বলেন, "ছায়াটিকে দেখে আমার মনে হচ্ছে, এটি অস্বাভাবিক কিছু। কী এটা বুঝতে পারছি না। জানা দরকার।"
[আরও পড়ুন: ‘আমার রোজগারে খাবে, আবার আমার উপর হুকুম চালাবে!’, বেকার স্বামীকে প্রকাশ্যে মার স্ত্রীর]
এই ঘটনা জানার পরই ওই রাস্তায় লোকচলাচলও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যা নামতে না নামতেই রাস্তাঘাট একেবারে শুনশান হয়ে পড়ছে। ও রাস্তা দিয়ে রাতে যাঁরা বাড়ি ফিরতেন তাঁরাও বলছেন, রাতে ফাঁকা রাস্তায় কীসের যেন ফিসফাস! মনে হচ্ছে, কে যেন ছায়ার মতো সরে যাচ্ছে পাস দিয়ে। কে যেন পিছু নিচ্ছে। বাসিন্দারা অনেকেই বলছেন, এই ভূতের ভবিষ্যৎ কী?
সত্যিই কি বিজ্ঞানের যুগে ভূত রয়েছে? এই তর্কেই এখন মশগুল ডোমজুড়ের বাসিন্দারা। তবে বাসিন্দাদের একাংশ আবার অন্য যুক্তিও খাড়া করছে। ফাঁকা জায়গায় প্রোমোটিংয়ের জন্য ছায়া দেখিয়ে ভূতের আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে না তো? এই প্রশ্নও তুলছে বাসিন্দাদের একাংশ। বুধবার এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের তরফে হাওড়া জেলার সহ-সম্পাদক শঙ্কর মুখোপাধ্যায় বললেন, "সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা এলাকায় গিয়ে পর্যবেক্ষণ করবেন।"