সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাধারণ মানুষকে ভোটমুখী করতে চেষ্টার খামতি নেই নির্বাচন কমিশনের। অভিনব উদ্যোগের পাশাপাশি চলছে ঢালাও প্রচার। তারপরও ভোট দানে যথেষ্ট আগ্রহের খামতি ভোটারদের। এই পরিস্থিতিতে ভোটারদের বুথমুখী করতে উদ্যোগ নিল উত্তরপ্রদেশের এক স্কুল। ঘোষণা করা হল, স্কুলের পড়ুয়ারা তাদের বাবা-মাকে ভোট দেওয়াতে পারলে উপহার স্বরূপ তাদের দেওয়া হবে বাড়তি ১০ নম্বর।
আগামী ২০ মে দেশজুড়ে হতে চলেছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে মাথায় রেখেই অভিনব এই ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) লখনউয়ের সেন্ট জোসেফ কলেজ (St Joseph College)। স্কুলের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, স্কুলের পড়ুয়ারা তাদের বাবা মাকে বুথমুখী করতে পারলে পরীক্ষার খাতায় তাদের ১০ নম্বর উপহার দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ভোট দানের পর পড়ুয়ার বাবা-মাকে স্কুলে এসে ভোটদানের প্রমাণ দেখাতে হবে। অর্থাৎ আঙুলে কালি দেখাতে হবে। শুধু তাই নয়, যে সব কর্মী ওই স্কুলে কাজ করেন, ভোট দিলে তাঁদের জন্যও উপহার ঘোষণা করেছে স্কুল। জানানো হয়েছে, স্কুলের যে সব কর্মীরা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন তাঁদের দেওয়া হবে একদিনের বাড়তি বেতন।
[আরও পড়ুন: ‘চার প্রজন্ম ধরে সংবিধান ধ্বংস করেছে’, ‘শেহজাদা’ গান্ধী পরিবারকে তোপ মোদির]
অভিনব এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে সেন্ট জোসেফ গ্রুপ অফ ইন্সটিটিউশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল আগরওয়াল বলেন, "আগামী ২০ মে লখনউ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। মানুষ যাতে ভোট দানে অংশ নেয় এবং এই কেন্দ্রের ভোট শতাংশ যাতে বাড়ে সে জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। এক্ষেত্রে ভোট দানে অংশ নিলে আমরা আমাদের কর্মীদের একদিনের বাড়তি বেতন ও পড়ুয়াদের বাড়তি ১০ নম্বর দেব। পড়ুয়া চাইলে কোনও একটি বিষয়ে ওই ১০ নম্বর যোগ করতে পারে বা অন্যান্য বিষয়ে ভাগ করে নিতে পারে।"
শুধু তাই নয়, ভোট দানে উৎসাহ বাড়াতে গোমতি নগরে রীতিমতো মিছিল বের করা হয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে। যদিও এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বেসরকারি সংস্থার তরফে ভোটারদের টাকা বা ভোটারদের সন্তানদের বাড়তি নম্বরের লোভ দেখানো 'বেআইনি' বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
[আরও পড়ুন: ১০ বছরে কেন একবারও সাংবাদিক সম্মেলন করেননি? অবশেষে উত্তর দিলেন মোদি]
অবশ্য ভোটদানে আগ্রহ বাড়াতে এমন উদ্যোগ এই প্রথমবার নয়। এর আগে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে ভোটদাতাদের বিনামূল্যে প্রাতরাশ ও আইসক্রিম বিলি করেছিল এক সংস্থা। সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক ট্রাভেল এজেন্ট সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছে যারা ভোট দিয়েছেন তাঁরা যদি তাঁর সংস্থা থেকে টিকিট কাটেন এবং পরে তা বাতিল করেন সেক্ষেত্রে বাতিল টিকিটে জরিমানার অঙ্কে দেওয়া হবে ছাড়। চতুর্থ দফা নির্বাচনে কর্নাটকে এক মদের দোকানের তরফে ঘোষণা করা হয়, ভোট দানের পর কালি মাখা আঙুল দেখালে মদের উপর ৫ শতাংশ ছাড়া দেবে তাঁরা। সব মিলিয়ে ভোট বাজারে অভিনবত্বের খামতি নেই গোটা দেশে।