সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৯১ সালের কথা মনে আছে। ওয়াংখেড়ের পিচ খুঁড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তৎকালীন শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরে। বুধবার লন্ডনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগে ফিরল সেই স্মৃতি। ওভালের পিচ খুঁড়ে দেওয়ার হুমকি দিলেন তেল নিয়ে প্রতিবাদীরা। বাধ্য হয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে আইসিসিকে।
জ্বালানি তেলের অতিরিক্ত ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলনে নেমেছেন স্থানীয়রা। ইতিমধ্যেই তাঁরা ওভালের বাইরেও প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার টিম বাসকেও তাঁদের আন্দোলনের মাঝে পড়তে হয়েছিল। কিন্তু মাঠের বাইরেই তাঁদের প্রতিবাদ থামিয়ে রাখতে চান না তাঁরা, পিচ খুঁড়ে, মাঠে ভাঙচুর চালানোর হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। এহেন হুমকির পরই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে ওভালকে। শুধু তাই নয়, এই হুমকির কথা মাথায় রেখে ক্রিকেট নিয়মে ৬.৪ ধারায় বদল ঘটিয়ে নয়া সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
মূল উইকেটের পাশাপাশি বিকল্প পিচের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের জন্য তৈরি জোড়া পিচ। অর্থাৎ একটি পিচ ক্ষতিগ্রস্ত হলে অন্যটিতে খেলা হবে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং প্যাট কামিন্সের সঙ্গে কথা বলেছে আইসিসি। যে পিচে খেলা শুরু হবে, সেটি পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁরা যদি অন্য উইকেটে খেলতে রাজি হন, তাহলে খেলা চলবে। আর তা না হলে খেলা বাতিলও করা হতে পারে। এক্ষেত্রে ভূমিকা থাকবে অন-ফিল্ড আম্পায়ারেরও। তাঁরা যদি মনে করেন পিচটি খেলার যোগ্য নয়, তাহলে খেলা থামিয়ে তৎক্ষণাৎ আইসিসি-কে খবর দিতে হবে।
সত্যিই যদি ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনাল এমন অবস্থার সম্মুখীন হয়, তাহলে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের সুপারিশের পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন আইসিসি ম্যাচ রেফারি। এরপর মাঠকর্মী এবং কিউরেটরকে খবর দেওয়া হবে। তাঁরা নতুন করে উইকেট খেলার যোগ্য করে তোলার চেষ্টা করবেন। কিংবা আদৌ খেলা যাবে কি না, সে বিষয়টি ঘোষণা করবেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে ফাইনালের আগে বেশ জটিল পরিস্থিতি ওভালে।