সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিলে যাচ্ছে আশঙ্কা। অতিমারী (Pandemic) শুরুর আগেই সমীক্ষায় ধরা পড়েছিল এক করুণ ছবি। বিশ্বের প্রতি ছ’টি শিশুর মধ্যে একজন রয়েছে চরম দারিদ্রের (Extreme poverty) মধ্যে। সংখ্যার হিসেবে তা দাঁড়ায় ৩৫ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষ। সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংক ও রাষ্ট্রসংঘের চিলড্রেনস ফান্ড তথা ইউনিসেফের (UNICEF) এক নতুন সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, পরিস্থিতি এখন আরও ভয়াবহ। করোনার প্রকোপে শিশুদের দুরবস্থা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। যে আশঙ্কা অতিমারী শুরু হওয়ার পর থেকেই করা হচ্ছিল।
এবিষয়ে প্রকাশিত নতুন রিপোর্টের শিরোনাম ‘গ্লোবাল এস্টিমেট অফ চিলড্রেন ইন মানিটারি পভার্টি: অ্যান আপডেট’। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, সাব-সাহারান আফ্রিকায় দুই-তৃতীয়াংশ শিশুর পরিবারের মাথাপিছু রোজগার দিনে ১.৯ ডলার বা তারও কম। দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত। সেখানে প্রতি পাঁচজনে এক শিশুর পরিস্থিতি এমন।
[আরও পড়ুন: তাইওয়ানের সঙ্গে ভারতের ব্যবসায়িক আলোচনা নিয়ে আপত্তি, দিল্লিকে হুঁশিয়ারি বেজিংয়ের]
রিপোর্টের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চরম দারিদ্রের প্রকোপে থাকা শিশুদের মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ শিশুর আর্থিক পরিস্থিতির খানিক উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু অতিমারীর ধাক্কায় টালমাটাল পৃথিবীতে আরও চরম দুর্দশার মুখোমুখি হতে হয়েছে শিশুদের। ইউনিসেফের এক অন্যতম কর্তা সঞ্জয় বিজয়শেখরা জানাচ্ছেন, ‘‘সংখ্যাগুলি যে কাউকে চমকে দেবে। অতিমারীর ফলে সৃষ্টি হওয়া অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে দিয়েছে। সমস্ত দেশের সরকারের আপৎকালীন পরিস্থিতিতে এই শিশুদের দুর্দশামুক্তির পরিকল্পনা করা উচিত। অন্যথায় অসংখ্য শিশু ও তাদের পরিবার সীমাহীন দারিদ্রের মুখে পড়বে, যা বহু বছরের মধ্যে দেখা যায়নি।’’
সারা বিশ্বের অতি দরিদ্রদের প্রায় অর্ধেকই শিশু। মোট দরিদ্রদের মধ্যে ২০ শতাংশেরই বয়স পাঁচের নিচে। যে দেশগুলির পরিস্থিতি সংঘাতজনিত কারণে অস্থির, সেখানে ৪০ শতাংশ শিশু চরম দারিদ্রের মধ্যে বাস করে। কিন্তু অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে তা ১৫ শতাংশ।