সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। আর প্রথমবারেই কংগ্রেস নেতার যাত্রা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ শোনা গেল মোদির মুখে। যাত্রার শেষবেলায় এসে রাহুল যেভাবে কাশ্মীর নিয়ে মোদিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন, সেই চ্যালেঞ্জের জবাবও দিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের জবাবি ভাষণ দিতে উঠে মোদি এদিন কংগ্রেস তথা রাহুলকে কটাক্ষ করে বলেন, যারা একসময় বলত লালচকে তেরঙ্গা উত্তোলন করলে শান্তিশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হতে পারে, তারাই আজ তেরঙ্গা যাত্রা করছে। দেখে ভাল লাগছে। ভারত জোড়ো (Bharat Jodo Yatra) যাত্রায় গিয়ে রাহুল মোদি এবং অমিত শাহকে (Amit Shah) একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলে দিয়েছিলেন, তিনি যেভাবে কাশ্মীরে পদযাত্রা করলেন মোদি বা শাহ সেভাবে করতে পারবেন না। কারণ তাঁরা ভয় পান। রাহুলের সেই চ্যালেঞ্জেরও এদিন জবাব দিয়েছেন মোদি।
[আরও পড়ুন: লখনউয়ের নাম বদলে হবে লক্ষ্মণ নগরী! উত্তরপ্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে]
প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের ১৯৯২ সালের কাশ্মীর যাত্রার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, আজ কাশ্মীরের ভাল সময়ে অনেকেই কাশ্মীর ঘুরে আসছেন। গত শতাব্দীর শেষের দিকে আমিও একটা যাত্রা নিয়ে কাশ্মীরে গিয়েছিলাম। লালচকে তেরঙ্গা তোলার উদ্দেশ্যে নিয়ে। তারিখটা ছিল ২৪ জানুয়ারি। ওখানে জঙ্গিরা পোস্টার লাগিয়েছিল মায়ের দুধ খেয়ে থাকলে লালচকে পতাকা উড়িয়ে দেখাক। আমি ভরা সভায় বলে এসেছিলাম, ২৬ জানুয়ারি ঠিক ১১টায় দেখিয়ে দেব কে মায়ের দুধ খেয়েছে।”
[আরও পড়ুন: গরম শিকের ছ্যাঁকা, যৌন নির্যাতন, কিশোরী পরিচারিকাকে নারকীয় অত্যাচারে গ্রেপ্তার দম্পতি]
মোদি (Narendra Modi) এরপরই দাবি করেন, একসময় ২৬ জানুয়ারি কাশ্মীরে গোলা বারুদের বৃষ্টি হত। বন্দুক যেন কম পড়ছিল। আজ জম্মু-কাশ্মীরে শান্তি ফিরেছে, উন্নয়ন হচ্ছে। পর্যটনের সব রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। আজ জম্মু-কাশ্মীরেও ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচি সফল। আমি খুশি যারা আগে বলত কাশ্মীরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলে শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে, তারাই আজ তিরঙ্গা যাত্রা করছে।