বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: রাজ্যে পুরভোটের (Municipal Election)আগে আদর্শ আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরও কীভাবে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী? প্রশাসনিক বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, কমিশন শাসকদলের হয়ে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী আইনকানুন কিছুই মানেন না। এতেই বোঝা যাচ্ছে, পুরভোট কেমন হবে।
বৃহস্পতিবারই রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভায় ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। জারি হয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) কী করে জেলার পুলিশ সুপার ও জেলা শাসকদের নিয়ে বৈঠক করেন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে। এক সুরে প্রশ্ন তুলল বিজেপি, বাম ও কংগ্রেস। নেতাজি ইনডোর প্রশাসনিক বৈঠক শুরু হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করে বুঝিয়ে দিতে চাইছেন, তিনি কমিশনের আইনকানুন কিছুই মানেন না। বোঝালেন, পুরভোটে গোটা প্রশাসনকে তৃণমূলের হয়ে কাজ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: আরও রঙিন হবে কার্নিভ্যাল, একমাস ধরে দুর্গাপুজো সেলিব্রেশনের পরিকল্পনা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী]
বিরোধী দলনেতার পাশে দাঁড়িয়েছে বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর (Sujan Chakraborty) অভিযোগ, বোঝাই যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন তৃণমূল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেন। কমিশন ও প্রশাসন নির্লজ্জ দলদাসের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ সুজনের। তোপ দেগেছেন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আবদুল মান্নান। তাঁর বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী গত ১১ বছরে আইন মেনে কাজ করেছেন বা সংবিধানকে মর্যাদা দিয়েছেন, এমন কোনও উদাহরণ খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই তাঁর এমন আচরণই স্বাভাবিক।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশে হামলার মুখে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির গাড়ি, চলল গুলি]
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোরে সমস্ত জেলার পুলিশ সুপার, জেলাশাসকদের নিয়ে প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক কাজকর্মে অগ্রগতি আনতে একাধিক পদক্ষেপের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের ১০৮ পুরসভায় ভোট ঘোষণা হয়েছে আজই। আচরণবিধিও লাগু হয়ে গিয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিলেও তা এখনই করা যাবে না। যদিও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক পূর্বপরিকল্পিত ছিল। নির্বাচনী বিধি লাগু হলেও সেই বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।