সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'ম্যাগনাস কার্লসেন কো ইতনা গুসসা কিঁউ আতা?' কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন। বিশেষ করে যদি কোনও ভারতীয় দাবাড়ুর কাছে হারেন, তাহলে তো রেগে একেবারে আগুন হয়ে যান নরওয়ের দাবাড়ু। এর আগে ডি গুকেশের কাছে হেরে টেবিলে চাপড় মেরেছিলেন। এবার আরেক ভারতীয় অর্জুন ইরাইগিসির কাছে হেরেও একই কাণ্ড কার্লসেনের। আর এতটাই রেগে গেলেন যে, পাশ দিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তিও ভয় পেয়ে যান।
সোমবার দোহায় ফিডে বিশ্ব ব্লিৎজ চ্যাম্পিয়নশিপে অর্জুনের মুখোমুখি হয়েছিলেন কার্লসেন। কিন্তু শেষের দিকে অর্জুনের টেকনিকের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেননি। কার্লসেনকে হারিয়ে ১১ রাউন্ডে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ভারতীয় দাবাড়ু। আর সেই হার কিছুতেই মানতে পারলেন না কার্লসেন। ম্যাচে হারছেন বুঝতে পেরেই রাগের মাথায় চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে ওঠেন। সেই সময় পাশ দিয়ে যাওয়া এক ব্যক্তি কার্লসেনের অগ্নিমূর্তি দেখে আঁতকে ওঠেন। আর কার্লসেন এমনভাবে লাফিয়ে ওঠেন যে ঘুঁটি মাটিতে ছিটকে পড়ে। তারপরই 'হারের জ্বালায়' টেবিলে ঘুসি মারতে থাকেন তিনি।
দাবার বোর্ডে বিপক্ষের মুখে ‘কিস্তিমাত’ শুনলে কেন বারবার তিনি মেজাজ হারান, তার কোনও উত্তর নেই। র্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপে সম্প্রতি তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন রাশিয়ার গ্র্যান্ডমাস্টার ভ্লাদিস্লাভ আর্টেমিয়েভ। রাশিয়ান দাবাড়ুর সঙ্গে হেরে মেজাজ একেবারে সপ্তমে ওঠে ম্যাগনাস কার্লসেনের। রাগে এতটাই বেসামাল হয়ে পড়েন যে, ক্যামেরাম্যানকে ঠেলে বিতর্কে জড়ান। এর আগেও তিনি ভারতীয় দাবাড়ু গুকেশের কাছে হেরে প্রচণ্ড রেগে টেবিলে ঘুসি মেরেছিলেন।
অবশ্য গুকেশের দিনটাও খুব একটা ভালো গেল না। দোহায় তিনি হেরে গেলেন এক বারো বছর বয়সি দাবাড়ুর কাছে। ফিডে মাস্টার সের্গে স্ক্লোকিনের কাছে আচমকা হেরে যান তিনি। ম্যাচটা একতরফা হবে বলে অনেকে ধরে রেখেছিলেন। কারণ গুকেশ একজন সুপার গ্র্যান্ডমাস্টার, তাঁর রেটিং ২৭৫০। যেখানে সের্গে ফিডে মাস্টার টাইটেল জয়ী, যা গ্র্যান্ডমাস্টারের থেকে দু'ধাপ নীচে। কিন্তু তাতেও ৭০ চালের ম্যাচে সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে চাপে পড়ে যান গুকেশ। তার ১০ চাল পর হার মানতে বাধ্য হন ভারতীয় দাবাড়ু।
