সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জোহানেসবার্গে ভাগ্যের চাকা ফেরাতে ব্যর্থ হয় টিম ইন্ডিয়া। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে চলতি টেস্ট সিরিজে সমতা ফেরান প্রোটিয়া অধিনায়ক এলগার। এবার চূড়ান্ত লড়াইয়ের সাক্ষী হতে চলেছে কেপ টাউন। সেখানেই সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে জয়ের ইতিহাসের হাতছানি যেমন ক্যাপ্টেন কোহলির সামনে, তেমনই ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়ার সুযোগও অপেক্ষা করছে। বিরাটের পাশাপাশি নয়া মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেন ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি।
গত টেস্টে পিঠের চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে ছিটকে গিয়েছিলেন কোহলি (Virat Kohli)। দলের দায়িত্ব নেন কেএল রাহুল। তবে ফিট হয়ে কেপ টাউনে ফিরছেন তিনি। আর এই মাঠেই গড়তে পারেন নয়া রেকর্ড। পাঁচদিনের ফরম্যাটে কোহলির মোট সংগ্রহ ৭ হাজার ৮৫৪ রান। বিশ্বের ব্যাটারদের তালিকায় ৩২ নম্বরে রয়েছেন তিনি। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১৪৬ রান করতে পারলে দুনিয়ার ৩১তম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ৮০০০ হাজার রানের মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। ষষ্ঠ ভারতীয় হিসেবে এই নজির গড়বেন তিনি। এর আগে শচীন তেণ্ডুলকর (১৫,৯২১), রাহুল দ্রাবিড় (১৩,২৬৫), সুনীল গাভাসকর (১০,১২২), ভিভিএস লক্ষ্মণ (৮৭৮১) এবং বীরেন্দ্র শেহওয়াগের (৮৫০৩) এই কীর্তি রয়েছে। তবে গত দু’বছরে একটিও সেঞ্চুরির মুখ দেখেননি কোহলি। এমন পরিস্থিতিতে ডু অর ডাই লড়াইয়ে তাঁর পারফরম্যান্স যে আতস কাচের তলায় থাকবে, তা বলাই বাহুল্য।
[আরও পড়ুন: আদালতের রায় জকোভিচের পক্ষে, অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলতে পারবেন সার্বিয়ান তারকা]
এদিকে অনিল কুম্বলে এবং জাভাগল শ্রীনাথের সঙ্গে এক আসনে বসার হাতছানি ভারতীয় পেসার শামির সামনে। প্রথম টেস্টের পর শামিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন কোহলি। বিশ্বের সেরা তিন পেসারের মধ্যে শামি (Mohammad Shami) অন্যতম। এমন কথাই শোনা গিয়েছিল অধিনায়কের মুখে। এবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নজির গড়ার পালা তাঁর। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ২০ ম্যাচে ৪৫ উইকেট শামির ঝুলিতে। আর পাঁচটি তুলে নিতে পারলেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে উইকেট নেওয়ার হাফ সেঞ্চুরি ক্লাবে প্রবেশ করবেন তিনি। এর আগে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ৮৪ এবং ৬৪টি উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে কুম্বলে ও শ্রীনাথের। টার্বুনেটর হরভজন সিংয়ের ঝুলিতে রয়েছে ৬০টি উইকেট। এবার শামির দিকে তাকিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা।
তবে জোহানেসবার্গের মতো কেপ টাউন ভারতীয় দলের (Team India) জন্য একেবারেই পয়া নয়। ১৯৯২ থেকে এই মাঠে দুটি টেস্ট ড্র এবং তিনটিতে হেরেছে ভারত। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে হোম ফেভারিটদের হারিয়ে কোহলিদের ইতিহাস রচনা নেহাত সহজ কাজ হবে না।