সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধুচন্দ্রিমা শেষ। আফগানিস্তান (Afghanistan) দখলের পরই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে ঠোকাঠুকি শুরু হয়ে গেল তালিবানের। এবার পাক প্রধানমন্ত্রীকে ‘তোতাপাখি’ এবং শক্তিহীন বলল জেহাদি সংগঠনটি। সাফ জানিয়ে দিল, তাঁদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলালে পাকিস্তানকেও ছেড়ে কথা বলবে না তালিবান।
আসলে, আফগানিস্তানের সরকার গঠন নিয়ে তালিবানের (Taliban) অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। জেহাদি সংগঠনটির একাধিক গোষ্ঠী ক্ষমতা দখলের লোভে নিজেদের মধ্যে রীতিমতো কামড়া-কামড়ি শুরু করে দিয়েছে। আর সেটা নিয়েই দিন দুই আগে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কথায়, আফগানিস্তানে কারোর হাতের পুতুল বা তোতাপাখির মতো সরকারকে মানুষ সমর্থন করবে না। এমন সরকার তৈরি হলে সেটা হবে আফগানিস্তানের মানুষের অপমান। তাঁরা এমন সরকারকে মানবে না।” ইমরানের আশঙ্কা ছিল, আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে প্রকারন্তরে আমেরিকাই পরিচালনা করবে।
[আরও পড়ুন: ‘এক্ষুনি অধিকৃত কাশ্মীর ছেড়ে দিক পাকিস্তান’, রাষ্ট্রসংঘে বেনজির আক্রমণ ভারতের]
পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তালিবান। জেহাদি সংগঠনটির এক মুখপাত্রের বক্তব্য,”ইমরান খান নিজেই তো মনোনীত প্রধানমন্ত্রী। ও একটা তোতাপাখি। আমরা যেমন অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলাই না, তেমনই অন্য কেউ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলালে সেটা বরদাস্ত করা হবে না।” তালিবানের ওই মুখপাত্রের সাফ কথা,”ইমরান খান আফগানিস্তানে স্বতন্ত্র সরকার চাইছেন। অথচ, পাকিস্তান নিজেই চরম বিপদে। ইমরান নিজেই নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নন, পাকিস্তানের (Pakistan) মানুষের ভোটে তিনি প্রধানমন্ত্রী হননি।” তালিবান মুখপাত্র বলছে, পাকিস্তানের মানুষই বলে ইমরান সরকার আসলে সেনার দ্বারা পরিচালিত তোতাপাখি।
[আরও পড়ুন: ‘আমেরিকার তুলনায় ভারতীয় সাংবাদিকরা বেশি ভদ্র’, মোদির সঙ্গে বৈঠকে মন্তব্য বাইডেনের]
বস্তুত, আফগানিস্তান তালিবানের হাতে যাওয়ার পর, সবচেয়ে বেশি খুশি সম্ভবত হয়েছিলেন ইমরান খান। তালিবানের সঙ্গে যোগসাজশ করে কাশ্মীরে অশান্তি বাধানোর ছকও ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু এখন নিজেদের মধ্যেই ঠোকাঠুকিতে ব্যস্ত তালিবান এবং পাকিস্তান। যা খানিকটা স্বস্তি দেবে ভারতকে।