সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের (Pakistan) দ্বিচারিতায় প্রবল ক্ষুব্ধ আমেরিকা। তালিবান, হাক্কানি নেটওয়ার্ক-সহ বিভিন্ন জেহাদি গোষ্ঠীগুলিকে রাওয়ালপিণ্ডির সমর্থনে তিতিবিরক্ত ওয়াশিংটন। ফলে ইমরান প্রশাসনকে,শিক্ষা দিতে কড়া পদক্ষেপ করল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু এস-৪০০, রুশ মিসাইল নিয়ে টানাপোড়েন ভারত-আমেরিকার]
সন্ত্রাসবাদে লাগাতার মদত দেওয়ার অভিযোগে আগেই ইসলামাবাদকে অনুদান দেওয়ায় রাশ টেনেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবার ন্যাটো বহির্ভূত মিত্রদেশের তালিকা থেকেও পাকিস্তানের নাম বাদ দেওয়ার প্রস্তাব উঠল মার্কিন কংগ্রেসে। সোমবার এই মর্মে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে একটি বিল পেশ করেন রিপাবলিকান দলের সদস্য তথা কংগ্রেসম্যান অ্যান্ডি বিগস। এই বিল পাশ হলে রীতিমতো বিপাকে পড়বে পাকিস্তান। কারণ, ন্যাটো বহির্ভূত মিত্রদেশের তালিকায় থাকার সুবাদে মার্কিন হাতিয়ার ও বিভিন্ন অনুদান পাচ্ছে ইসলামাবাদ। পাশাপাশি, মহাকাশ গবেষণা, মার্কিন প্রতিরক্ষা গবেষণা ও নয়া অস্ত্র তৈরির প্রকল্পে শামিল হওয়ার সুযোগও রয়েছে পাকিস্তানের হাতে। কিন্তু মিত্র দেশের তালিকা থেকে বাদ পড়লে এসব কিছুই পাবে না ইসলামিক দেশটি। এই বিল পেশ করার কারণ হচ্ছে, বরাবরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাক্কানি নেটওয়ার্ককে মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আফগানিস্তানে নাশকতা চালাতে এই সংগঠনটিকে কাজে লাগায় আইএসআই ও পাক আর্মি।
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে পেশ করা প্রস্তাবে বিগস সাফ উল্লেখ করেছেন, ন্যাটো বহির্ভূত মিত্র দেশের তালিকা থেকে একবার বাদ পড়লে, পাকিস্তানকে অন্য কোনও তালিকার অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন না প্রেসিডেন্টও। তবে, হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে যদি তারা দেশের মাটি থেকে উচ্ছেদ করতে পারে এবং খোদ প্রেসিডেন্ট যদি দায়িত্ব নিয়ে তা নিশ্চিত করতে পারেন এবং সেই শংসাপত্র দাখিল করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা যেতে পারে। ২০০৪ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের আমলে ন্যাটো বহির্ভূত মিত্র দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে নথিভুক্ত করা হয়। অস্ট্রেলিয়া, মিশর, ইজরায়েল, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, জর্ডন, নিউজিল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, বাহরিন, ফিলিপিন্স, তাইওয়ান, তাইল্যান্ড, কুয়েত, মরক্কো, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, টিউনিশিয়া এবং ব্রাজিল, ১৯৮৭ সাল থেকে মোট ১৭টি দেশ ওই তালিকায় জায়গা পেয়েছে।