সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস গড়ে তৃতীয়বারের জন্য চিনা কমিউনিস্ট পার্টির (CPC) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi Jinping)। তাঁকে ‘সত্যিকারের বন্ধু’ বলে শুভাচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। প্রত্যাশামতোই শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (Vladimir Putin) কাছ থেকেও। প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বারবার প্রকাশ্যে রাশিয়াকে সমর্থন করেছে চিন। নানা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে চিন-পাকিস্তানের অক্ষের ছবিও বেশ পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। জিনপিংকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিনের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও ঝালিয়ে নিল পাকিস্তান ও রাশিয়া।
তৃতীয়বারের জন্য চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার খবর প্রকাশ হতেই জিনপিংকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। তিনি বলেছেন,”সমগ্র পাকিস্তানের তরফ থেকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে অভিনন্দন জানাই। তৃতীয়বারের জন্য চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনি। দেশের মানুষকে সেবা করার ব্রত নিয়ে অক্লান্ত ভাবে এগিয়ে চলেছেন জিনপিং। তারই স্বীকৃতি হিসাবে এই পদে ফের নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।” জিনপিংকে প্রকৃত বন্ধু হিসাবে আখ্যা দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আলভি। প্রসঙ্গত, গত জুন মাস থেকে পাঁচবার রাষ্ট্রসংঘে পাক জঙ্গির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পথে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন।
[আরও পড়ুন: তালিবানের গুলিতে ঝাঁজরা বাবা, চিত্রসাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকির পুলিৎজার পুরস্কার নিল শিশুসন্তানরা]
ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে বারবার রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে চিন। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ রাশিয়ার নিন্দায় মুখর হলেও চিনের তরফে বারবার ভ্লাদিমির পুতিনের দেশকে সমর্থন করেছে বেজিং। বিপুল পরিমাণে রুশ তেলও আমদানি করে তারা। রবিবার চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার পরে জিনপিংকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, “দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়ার আরও উন্নতি হবে, এমনটাই আশা করি।” জিনপিংকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনও।
মাও জে দংয়ের পরে প্রথমবার। টানা তৃতীয়বার চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদকের পদে বসলেন শি জিনপিং। তাঁকে এই পদে বসানোর জন্য বদলে ফেলা হলে দলের বেশ কিছু নিয়মও। তবে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, চিনের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষস্তরে ক্ষমতা ক্রমশই একজন ব্যক্তির হাতে চলে যাচ্ছে। তৃতীয়বার দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরে জল্পনা শুরু হয়েছে, আজীবন চিনের শাসনভার থাকতে পারে জিনপিংয়ের হাতেই। চিন কি তবে একনায়কতন্ত্রের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? প্রশ্ন দেশের অন্দরেই।