সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: দলের নির্দেশ না মানায় পুরুলিয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্লক যুব সভাপতিকে সাসপেন্ড করে তাঁর প্রার্থী পদ খারিজ করল শাসক দল তৃণমূল (TMC)। পুরুলিয়ার (Purulia) মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি কিশোর মাহাতোকে সাসপেন্ড করে দল। তিনি মানবাজার এক নম্বর ব্লকের গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধানও। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া এই সাসপেন্ডর বিষয়টি জানান।
তৃণমূলের ওই যুব সভাপতি মানবাজার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ন’নম্বর আসনের প্রার্থী ছিলেন। প্রার্থীপদ খারিজ করে দেওয়াই ওই এলাকার নির্দল সদস্য দেবু দাকে সমর্থন করছে তৃণমূল। জেলা সভাপতি বলেন, “দলের রাজ্য নেতৃত্ব থেকে পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বারে-বারে বলেছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) কেউ গোঁজ হয়ে থাকলে দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মানবাজার ১ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতিকে অনির্দিষ্টকালীন সাসপেন্ড করে তাঁর পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী পদ খারিজ করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে CBI তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য]
‘গোঁজ’ হয়ে থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে দল। গত রবিবারও পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কার্যালয় থেকে একথা জানিয়ে ছিল জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু তারপরেও পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ২৯ নম্বর আসন থেকে তৃণমূলের তরফে মনোনয়ন করা গীতাঞ্জলি মাহাতো সেখান থেকে সরে আসেননি। নেতৃত্ব তাঁকে বারে বারে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বললেও সেই কথা কানে দেননি। তাই তার স্বামী পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি কিশোর মাহাতোর বিরুদ্ধে এই কড়া ব্যবস্থা নিল। শাসকদলের এই যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা বিদায়ী প্রধানের বিরুদ্ধে গোপালনগরে নানান অভিযোগও রয়েছে। তবুও পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী করেছিল দল। কিন্তু তারপরেও দলের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় তাকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল।
জেলা পরিষদের ২৯ নম্বর আসনে দলীয় প্রার্থী রয়েছেন কবিতা মাহাতো। তার বিরুদ্ধে জোরদার প্রচার শুরু করেছেন স্থানীয় নেতৃত্ব। কিন্তু অভিযোগ, জেলা পরিষদের ওই প্রার্থীকে মেনে নিতে পারছেন না ওই এলাকার তিনজন অঞ্চল সভাপতি। জেলা সভাপতি বলেন, অঞ্চল সভাপতিরাও যদি দল বিরোধী কাজে যুক্ত হন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠোর হবে দল।