সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাগরদিঘি মডেলের (Sagardighi) পালটা! এবার ‘বায়রন মডেলের’ হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কুণালের দাবি, পঞ্চায়েতে বিরোধীদের কোনও প্রার্থী যদি জেতেনও, তিনিও ভোটের পর ‘আরও ভালভাবে কাজ করতে’ তৃণমূলে যোগ দেবেন। সুতরাং বিরোধীদের ভোট দেওয়া অনর্থক।
রাজ্যে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি অশান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে মুর্শিদাবাদ থেকে। কিছুদিন আগে যে মুর্শিদাবাদের এক কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস (Congress) জোট তৃণমূলের প্রতীকে দাঁড়ানো প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। পরে আবার তিনি নিজেই তৃণমূলে যোগ দেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী পঞ্চায়েতের আগে হুঙ্কার ছাড়ছেন, সাগরদিঘি মডেলেই মুর্শিদাবাদ-সহ গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে নিশ্চিহ্ন হবে তৃণমূল। কুণাল ঘোষ অধীরদের (Adhir Ranjan Chowdhury) এই হুঙ্কার এবং বিরোধীদের মনোনয়ন নিয়ে অশান্তিকে স্রেফ ‘লম্ফঝম্ফ’ বলে দেগে দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: এই নিয়মগুলি না মানলেই বিপদ! চাকরি যাবে সরকারি বাসচালক-কনডাক্টরের, জরিমানা যাত্রীকেও]
তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য,”ওরা যে এত লাফালাফি করছে, সব আসনে প্রার্থীও জোগাড় করতে পারবে না। আর যদি লম্ফঝম্ফের পর কোথাও দু’চার জন প্রার্থী জেতেও, ভোটের পর তাঁরা যখন দেখবেন, কেন্দ্র সরকার কীভাবে রাজ্যের টাকা আটকে রাখছে, আর রাজ্য সরকার কীভাবে নিজেদের প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাচ্ছে, তখন আরও ভালভাবে কাজ করার জন্য তৃণমূলেই যোগ দেবেন।”
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মী খুনে আটক ২, নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার কথা অধীরের]
কুণাল (Kunal Ghosh) বলছেন,”ভোটের পর অন্য দলের কেউ জিতলেও তাঁদের মধ্যে বায়রনের মডেল সংক্রমিত হবে। কারণ ওরা জিতলেও নেগেটিভ রাজনীতি করবে। ভোটের আগে বেশিরভাগ আসনে তৃণমূল জিতবে। আর বিরোধীরা জিতলে সেই তৃণমূলে আসবে। সুতরাং অন্য দলকে সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন কেন?” বস্তুত সাগরদিঘির যে পরাজয় তৃণমূলের জন্য ধাক্কা হিসাবে দেখা হচ্ছিল, সেই সাগরদিঘির বিধায়কের দলত্যাগকেই এবার হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল।