shono
Advertisement

কতটা খরচ, কতই বা সঞ্চয়? জেনে নিন জীবন গোছানোর উপায়

আর্থিক ক্ষেত্রে ‘প্ল্যান’ করে এগোনোর বিকল্প নেই।
Posted: 07:24 PM Dec 07, 2022Updated: 07:24 PM Dec 07, 2022

পরিকল্পনা করে যাঁরা এগোন, তাঁদের জীবন অনেক বেশি গোছানো এবং স্বস্তির। আর্থিক ক্ষেত্রেও ‘প্ল‌্যান’ করে এগোনোর বিকল্প নেই। আয়ের কতটা অংশ কোন খাতে কীভাবে খরচ করবেন, বিনিয়োগেই বা কতটা বরাদ্দ করবেন-আগে থেকে অঙ্ক কষে নিলে পরে মেলাতে অসুবিধা হয় না। বুঝিয়ে বললেন এবারের অতিথি অশোক রায়

Advertisement

জকের এই বাজার অর্থনীতির যুগে কোনও ব্যক্তি চান বা না চান, তাঁর অর্জিত টাকাপয়সা খরচের নাম করে ছোঁ মেরে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে অনেক প্রলোভনই তাঁর চারপাশে মজুদ থাকে। এবার সেই সমস্ত প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে উপার্জন শুরু করার পরে অনেকেই ঠিকমতো বুঝতে পারেন না যে আয়ের ঠিক কতটা বিনিয়োগ করা উচিত আর কতটা খরচ করা উচিত। তবে একটি সমাধান আছে। আর তা হল-আয়ের শুরু থেকেই যদি কোনও ব্যক্তি ‘৫০-৩০-২০’ এই নিয়ম মেনে চলতে পারেন, তাহলে তিনি গোটা বিষয়টিতে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখতে সচেষ্ট হবেন।

‘৫০-৩০-২০’ এই নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যক্তি তার উপার্জনের ৫০% টাকা খরচ করতে পারেন নিজের দৈনন্দিন সংসার চালানোর জন্য যা যা একান্ত প্রয়োজনীয়, সেই সমস্ত খরচের জন্য। যেমন দুধের খরচ, মুদিখানার খরচ, যাতায়াত খরচ ইত্যাদি। এরপর তিনি তার আয়ের ৩০% টাকা খরচ করতে পারেন নিজের শখপূরণ বা লাইফস্টাইল জনিত খরচের জন্য। যেমন বেড়াতে যাওয়া, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গ‌্যাজেট কেনা প্রভৃতি। এরপর বাকি যে ২০% টাকাটা থাকবে, সেটা তিনি নিজের ভবিষ্যতের জন্য ইনভেস্ট করতে পারেন।

[আরও পড়ুন: লগ্নিকারীর জন্য আসছে সুযোগ, জেনে নিন বাজারের হালহকিকত]

ধরুন, একজন ব্যক্তির বয়স ২৫ বছর। ধরা যাক তাঁর প্রতি মাসের আয় ৩০,০০০ টাকা। এবার এই ‘৫০-৩০-২০’ নিয়ম অনুযায়ী ওই ব্যক্তি ৫০% টাকা মানে ১৫,০০০ টাকা প্রত্যেক মাসে নিজের দৈনন্দিন সংসার চালানোর জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় খরচ হিসাবে ব্যবহার করতেই পারেন। আর ৩০%, মানে ৯,০০০ টাকা মাসে তিনি তাঁর শখ-শৌখিনতা মেটানোর জন্য খরচ করতে পারেন। এবার ২০% মানে ৬,০০০ টাকা প্রত্যেক মাসে তিনি ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করতে পারেন।

প্রতি বছর তাঁর আয় যেমন যেমন বাড়বে সেই ভাবে যদি ওই ব‌্যক্তি নিজের ইনভেস্টমেন্টকেও বাড়াতে থাকেন, তাহলে সেই বিনিয়োগটাই অনেক বড় একটা সম্পদ তৈরি করতে তাঁকে সাহায‌্য করবে। যদি প্রত্যেক বছর ১০% করে ওই ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানো হয়, তাহলে ওই ব্যক্তি তার ৬০ বছর বয়সে আনুমানিক ১০ কোটিরও বেশি ‘ওয়েলথ’ ‘ক্রিয়েট’ করতে পারবেন। (১২% রিটার্ন ধরে)।

এই পরিমাণ সম্পদ তৈরির করার জন্য ফাইভ স্টার ফান্ড-এর প্রয়োজন হবে না, প্রয়োজন ফাইভ স্টার মানসিকতার বিনিয়োগকারী হিসাবে নিজেকে তৈরি করা। সম্পদ তৈরির জন্য নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য‌্য আর পরিকল্পনা থাকা বিশেষ প্রয়োজন। স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠের আর্থিক পরিকল্পনা বোঝাতে গিয়ে একবার বলেছিলেন যে ‘আমরা শাকের টাকা শাকে খরচ করি আর মাছের টাকা মাছে খরচ করি। কখনওই আমরা শাকের টাকা মাছে খরচ করি না।’ এই কারণেই বেলুড় মঠের মতো ঐতিহ‌্যবাহী প্রতিষ্ঠানে ‘মানি-ম‌্যানেজমেন্ট’ অর্থাৎ আর্থিক পরিচালনাজনিত কোনও সমস্যা কখনও হয় না।

(লেখক লগ্নি বিশেষজ্ঞ)

[আরও পড়ুন: বাড়ছে সিঙ্গল প্রিমিয়াম ইনসিওরেন্স প্ল্যানের চাহিদা, জেনে নিন খুঁটিনাটি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement