চা বাগানের ওপর দিয়ে পিচ ঢালা মসৃণ রাস্তা এঁকেবেঁকে উঠে গিয়েছে ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামে। উইকএন্ড কাটুক ডুয়ার্সের সেই গ্রাম ‘ফাঁপরখেতিতে’। লিখছেন পার্থময় চট্টোপাধ্যায়।
ডুয়ার্সের আরও এক ভালবাসার ঠিকানা ফাঁপরখেতি। ডুয়ার্স মানে যেমন জঙ্গলের এক মিষ্টি ঘ্রাণ, তেমনই পাহাড়ের ভালবাসার টান। তাই ডুয়ার্সে এসে অর্ধেক সময় জঙ্গলকে আর বাকি অর্ধেক সময় গরুবাথানকে দেওয়াই যায়। জঙ্গলে সবুজে সজীব হওয়া আর পাহাড়ে কুয়াশা মেখে শীতলতা নেওয়া। ঝান্ডি থেকে চেইল খোলা ব্রিজ টপকে রাস্তা উঠে গিয়েছে বাংলার ভূস্বর্গের দিকে। এই রাস্তায় এগিয়ে গেলে এক এক করে বঙ্গের ভূস্বর্গ, ফাঁপরখেতি, দারাগাঁও, কুয়াপানি আর তারপর লাভা যাওয়া যায়।
যাওয়ার পথে গাড়ি থামাতেই হবে আম্বেওক টি গার্ডেন-এ। এর রূপ ভাষায় বলা বা লেখা যায় না। চারিদিকে সবুজ আর সবুজ, আম্বেওক চা বাগানের ওপর দিয়ে পিচ ঢালা মসৃণ রাস্তা এঁকেবেঁকে পাহাড়ের উপর উঠে গিয়েছে। সেখানেই ছোট্ট চা-কফির দোকান। সেখান থেকেই এই পাহাড়ি চা বাগানের সদ্য ফুটে ওঠা দুটি পাতা একটি কুঁড়ির রূপকে তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করুন। আর চা বাগানের যেন ভরা যৌবন। ফাঁপরখেতি রূপ এখান থেকেই শুরু।
সেখান থেকেই আবার গহন সৌন্দর্যের ভিতর দিয়ে এগিয়ে যাব। এটাকেই বলে ফাঁপরখেতি বসতি অঞ্চল। ছোট্ট গ্রামটা। গোটা দশেক দোকান, তিরিশটা ঘরবাড়ি নিয়ে এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। থাকার জায়গা পাওয়া যায় কিন্তু হোমস্টে বা হোটেলের সুবিধা নেই। সামনে পিছনে এক পাশে আকাশচুম্বী পাহাড়ের সারি আর এক ধারে গভীর খাদ। কুয়াশা মাখা মিঠে বিকেল আর মাঝখান দিয়ে কালো ফিতের মতো একচিলতে সর্পিল রাস্তা চলে গিয়েছে কুয়াপানি ছাড়িয়ে সোজা লাভা। একমনে দেখতে থাকবেন গরুবাথানের আকাশ। সমতল থেকে উড়ে আসা মেঘেরা আশ্রয় খুঁজবে ওর বুকে। হয়তো শুরু হবে ঝিরঝির বৃষ্টি। আরও সুন্দর দেখাবে গরুবাথানের জঙ্গল, পাহাড় আর চাবাগানগুলোকে। থাকার সরকারি কোনও জায়গা নেই কিন্তু “স্বপ্নপুরী” আর “অভিনয় ন্যাচারাল রিসর্ট” নামে দুটো থাকার জায়গা আছে। ভাড়া ১৫০০ করে প্রতিদিন থাকা-খাওয়া সহ।
The post সপ্তাহান্তে ঘোরার প্ল্যান? কম খরচে চলে যান ফাঁপরখেতি appeared first on Sangbad Pratidin.