Advertisement
পয়লা আষাঢ়েই জালে ইলিশের প্রথম ঝাঁক, ডায়মন্ড হারবার বাজারে ৩০ টন রুপোলী শস্য
ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর।
পয়লা আষাঢ়ে মরশুমের প্রথম ইলিশ এল ডায়মন্ড হারবার পাইকারি মাছবাজারে। নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার দু'দিনের মধ্যেই সমুদ্র থেকে জালবন্দি হল প্রায় ৩০ টন ইলিশ। খুশি মৎস্যজীবীরা।
দু'মাসের নিষেধাজ্ঞার সময়কাল কাটিয়ে ১৪ জুন গভীর রাতে সমুদ্রে ইলিশ শিকারে বেরিয়েছিলেন মৎস্যজীবীরা। প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার ট্রলার সমুদ্রে বেরিয়েছে রুপোলী শস্যের শিকারে। মরশুমের প্রথমেই সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার ঘাটে ভিড়েছে বেশ কিছু ট্রলার।
এদিন ওই ঘাটে প্রায় তিরিশটি ট্রলার সমুদ্র থেকে ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। প্রতি ট্রলারেই গড়ে এক টন করে ইলিশ এসেছে। যেগুলি ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম কিংবা তারও বেশি ওজনের ইলিশ। বিকেলেই এদিন নিলামের জন্য ওই ইলিশ এসে পৌঁছায় ডায়মন্ডহারবারের নগেন্দ্রবাজার পাইকারি মাছের বাজারে।
ডায়মন্ড হারবারে পাইকারি বাজারের আড়তদার জগন্নাথ সরকার জানান, মরশুমের প্রথম ইলিশ এদিন পাইকারি বাজারে আসে। পাইকারি বাজারে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ এদিন বিকোয় কেজি প্রতি ৮০০-৯০০ টাকা দরে এবং ৮০০-৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিকোয় ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি প্রতি দরে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনাইটেড ফিশারমেন অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, "আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সমুদ্রে ইলিশের ঝাঁক রয়েছে। মৎস্যজীবীরা তাই প্রথম মরশুমি ইলিশ জালবন্দি করতে সক্ষম হয়েছেন। আবহাওয়া এমনই অনুকূলে থাকলে আগামী কয়েকদিনই ইলিশ নিয়ে আরও ট্রলার ভিড়বে কাকদ্বীপ, রায়দিঘি, নামখানা, ডায়মন্ড হারবারের ঘাটে ঘাটে।"
তিনি জানান, "ডিম পাড়তে সমুদ্র থেকে ইলিশের ঝাঁক এখন মোহনার কাছাকাছিই রয়েছে। ফলে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্রের গভীরে না গিয়েই মোহনা থেকে স্বল্প দূরত্বেই জালবন্দি হচ্ছে বড় ইলিশ। ফলে খুবই কম সময়ের মধ্যে মৎস্যজীবীরা উপকূলে ইলিশভর্তি ট্রলার ভেড়াতে সক্ষম হচ্ছেন।"
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক, ডায়মন্ডহারবার) সুরজিৎ কুমার বাগ বলেন, "লোভের বশবর্তী না হয়ে মৎস্যজীবীরা ইলিশের প্রজননকাল এই দু'মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে মাছ ধরতে না যান তবে আগামীদিনে বড়সড় সুস্বাদু ইলিশের আগের মত ফের দেখা মিলবেই। তাই নির্দিষ্ট সময়কালে মাছ ধরায় নিষেধ আইনের পাশাপাশি সচেতন হতে হবে মৎস্যজীবীদেরও।"
দু'মাস ধরে সমুদ্রে মৎস্যশিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে প্রচন্ড অনটনে দিন কাটছিল মৎস্যজীবীদের। সরকারি নিষেধের সেই বেড়াজাল তুলে নেওয়ায় প্রথম মরশুমেই ইলিশশিকারে বেরিয়ে বড় ইলিশ জালবন্দি করতে পেরে খুশির রোশনাই এখন সুন্দরবনের মৎস্যজীবী মহল্লায়।
আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি না বদলালে আগামী কয়েকদিন এভাবেই আরও টন টন ইলিশ জালবন্দি করে লাভের আশায় দিন গুণছেন মৎস্যজীবীরা।
Published By: Paramita PaulPosted: 09:27 PM Jun 16, 2025Updated: 10:02 PM Jun 16, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
