Advertisement
চড়া দামে টিকিট কেটেও মেসি দর্শন হয়নি! ক্ষোভের বিস্ফোরণে বিপুল ক্ষতির মুখে যুবভারতী
মাঠের ভিতরে ঢুকে হাতের কাছে যা পেয়েছেন তাই দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন মেসিভক্তরা।
তখনও বোঝা যায়নি এমন পরিণতি অপেক্ষা করছে যুবভারতীতে। তখন গোটা যুবভারতী প্রদক্ষিণ করছেন লিওনেল মেসি। মাঠের দর্শকদের অভিবাদন গ্রহণ করছেন হাসিমুখে। হাত নাড়ছেন যুবভারতীর দিকে। তবে বেলা ১২টা নাগাদ নির্ধারিত সময়ের আগেই মেসি মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ল গ্যালারি। দর্শকদের ক্ষোভের বিস্ফোরণে বিপুল ক্ষতির মুখে যুবভারতী।
দর্শকাসন ভেঙে, মাঠে বোতল ছুড়ে, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলল উত্তেজিত জনতা। ব্যারিকেড ভেঙে মাঠে নেমে পড়ে দর্শকরা। মাঠের ভিতরে ঢুকে হাতের কাছে যা পেয়েছেন তাই দিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন মেসিভক্তরা। ভেঙে দেওয়া হয় প্লেয়ারদের টানেল।
দর্শকদের অভিযোগ, যুবভারতীতে ঢোকার পর থেকেই মেসিকে ঘিরে ছিলেন ভিআইপিরা। সেই সংখ্যাটা কম করে ১০০ হবে। ফলে গ্যালারি থেকে ২০ মিনিট মেসিকে দেখাই যায়নি। চড়া দামে টিকিট কেটে মাঠে গিয়েও প্রিয় তারকাকে দেখতে না পেয়ে ধৈর্যচ্যুতি ঘটল তাঁদের।
একটা সময় তাঁরা 'উই ওয়ান্ট মেসি' স্লোগানও দিতে শুরু করেন। মাঠে বোতল ছুড়তে থাকেন তাঁরা। গ্যালারিতে থাকা মেসির ছবি দেওয়া ব্যানার পর্যন্ত ছিঁড়ে ফেলেন। এখানেই শেষ নয়। মাঠের ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েন উন্মত্ত জনতা। গ্যালারির সিট ভেঙে ছিঁড়ে ফেলতে থাকেন মাঠের ভিতরে। এক কথায় অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে স্টেডিয়াম।
অনূর্ধ্ব-১৭ ফিফা বিশ্বকাপের সময় বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনকে প্রধান ভেন্যু হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামে আধুনিকীকরণের কাজ হয়েছিল যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে। এখানেই আয়োজিত হয়েছিল বিশ্বকাপ ফাইনাল। কিন্তু সেই স্টেডিয়ামের গ্যালারি আজ উত্তাল হল। কেবল তাই নয়, যা ক্ষতি আজ হল, আজ যে ক্ষতি হল, তা মেরামতির জন্য বেশ মোটা অঙ্কের মূল্য খরচ করতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
যুবভারতীতে যা ঘটেছে, তাতে আরও বড় বিপদ ঘটতে পারত। গ্যালারি থেকে লাফ দিয়ে মাঠে নেমে আসেন দর্শকরা। শুরু হয় ভাঙচুরের পালা। বোতল তো বটেই, উড়ে আসতে থাকে একের পর এক চেয়ার। ভেঙে ফেলা হয় ক্যানোপি।
Published By: Prasenjit DuttaPosted: 01:47 PM Dec 13, 2025Updated: 01:47 PM Dec 13, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
