Advertisement
পর্যটকদের জন্য দারুণ খবর, অনলাইনেই মিলবে নাথু লা-লাচেন-লাচুং-জুলুকের পারমিট! কীভাবে?
নয়া এই সিস্টেম হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল।
সামনেই নতুন বছর। তার আগে বছর শেষের ছুটিতে অনেকেই বেড়াতে যান। বিশেষ করে সিকিমের নাথু-লা, ছাঙ্গু উপত্যকা, লাচেন, লাচুং, জুলুকের মতো জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো ভ্রমণ পিপাসুদের প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকে। অনেক ক্ষেত্রে যদিও এই সমস্ত জায়গায় যাওয়ার ক্ষেত্রে পারমিটের জন্য অপেক্ষা করতে হয় পর্যটকদের। গাড়ি চালকদের উপর ভরসা করতে হয়। তবে এবার স্বস্তির খবর। পারমিট পেতে আর লাইনে দাঁড়াতে হবে না পর্যটকদের। অনলাইনেই মিলবে পরিষেবা। এমনটা সিস্টেম চালু করতে চলেছে সিকিম সরকার।
নয়া এই সিস্টেম হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল। আধিকারিকরা মনে করছেন, পাহাড়ের উঁচু পর্যটন কেন্দ্রগুলির জন্য পারমিট চালু হলে খুব সহজেই কলকাতায় বসে কোনও পর্যটক পারমিট জোগাড় করে নিতে পারবেন। এজন্য কোথাও ছুটতে হবে না। পুরো প্রক্রিয়া হবে সরকার। এক্ষেত্রে একদিকে যেমন পর্যটকদের সুবিধা হবে, অন্যদিকে আয় অনেকটাই বাড়বে বলেও মনে করছে সিকিম সরকার।
সিকিম রাজ্য পর্যটন বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সিএস রাও বলেন, "নাথু-লা , ছাঙ্গু উপত্যকা, লাচেন, লাচুং এবং জুলুকের মতো জনপ্রিয় উঁচু এলাকাগুলোতে ভ্রমণ সহজ এবং দ্রুত করার জন্য অনলাইন পারমিটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।" কিন্তু কীভাবে হবে?
সিএস রাও এই প্রসঙ্গে আরও জানিয়েছেন, ''পর্যটকরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। পুরোটাই হবে কিউআর কোডের মাধ্যমে। আর তা স্ক্যান করে একদিকে দ্রুত যাচাই পর্ব শেষ করা সম্ভব হবে।'' অন্যদিকে চেকপয়েন্টগুলিতে মসৃণ ক্লিয়ারেন্স নিশ্চিত পাওয়া সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছেন সিকিম রাজ্য পর্যটন বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। তাঁর কথায়, ''সিকিমের পর্যটন শিল্পে আধুনিকীকরণের জন্য যে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পারমিট সিস্টেম তার অন্যতম। এরফলে পর্যটকদের আরও উন্নত পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে।''
পারমিট পাওয়ার জন্য আর কোথাও ছোটাছুটি করার প্রয়োজন হবে না। দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকেই নির্দিষ্ট ব্যবস্থার মাধ্যমেই অনলাইনে পারমিটের জন্য আবেদন করা যাবে। সিএস রাও জানিয়েছেন, ''এই অবস্থায় আগামী দিনে সিকিম ভ্রমণে ম্যানুয়াল নথিপত্রের প্রয়োজন হবে না। সবটাই হবে ডিজিটাল ব্যবস্থায়।'' শুধু তাই নয়, নতুন ব্যবস্থায় সীমাবদ্ধ অঞ্চল পারমিট এবং সুরক্ষিত অঞ্চল পারমিট দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
সিকিমের পর্যটন ও বেসামরিক বিমান পরিবহন দপ্তরের মন্ত্রী টিটি ভুটিয়া জানান, সিকিমে পর্যটন শিল্পে রয়েছে ঐতিহ্যবাহী সার্কিট, আধ্যাত্মিক ও যুদ্ধক্ষেত্র পর্যটন, অ্যাডভেঞ্চার কার্যক্রম এবং পরিবেশবান্ধব গ্রামীণ পর্যটন। তিনি যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের প্রসঙ্গে জানান, ''পাকিয়ং বিমানবন্দরের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ হলেও বিমান চলাচল এখনও শুরু হয়নি। তবে বাগডোগরা ও গ্যাংটকের মধ্যে এম-১২ হেলিকপ্টার পরিষেবা রয়েছে।''
মন্ত্রী জানান, ''সিকিম রাজ্য পর্যটন দপ্তর বুকিং ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। এর মাধ্যমে পর্যটকরা সরাসরি হোমস্টে এবং স্থানীয় গাইডের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।'' এছাড়াও পর্যটকদের নিরাপত্তাতেও জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন টিটি ভুটিয়া। তাঁর কথায়, ''ট্যুরিস্ট পুলিশ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোরেং জেলায় প্যারাগ্লাইডিং এবং বোল্ডারিংয়ের মতো অ্যাডভেঞ্চারের সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।'' একগুচ্ছ নয়া ব্যবস্থায় আগামী ছুটির মরশুমে পর্যটক সংখ্যা বাড়বে বলেই মনে করছে সিকিম সরকার।
Published By: Kousik SinhaPosted: 03:38 PM Nov 26, 2025Updated: 04:17 PM Nov 26, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
