Advertisement
আজও ফেরেনি যারা.... মাঝ আকাশেই নিখোঁজ হয়েছে বহু বিমান, জানেন সেই রহস্য?
ছবিতে ছবিতে সেই গল্প।
১২ জুন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থেকেছে আমেদাবাদ। ঘরে ফেরা হয়নি ২৪১ জনের। ঝলসে মৃত্যু হয় তাঁদের। দুর্ঘটনার কারণ এখনও অজানা। এই প্রথম নয়, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়েছে বহু বিমান। হারিয়ে গিয়েছে অনেকে। কীভাবে হারাল সেই বিমানগুলি, তা আজও রহস্য।
২০১৬ সালে প্যারিস থেকে কায়রোর উদ্দেশে উড়েছিল ইজিপ্ট এয়ার ফ্লাইট ৮০৪। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর আগে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে ১৩ হাজার ফুট নিচে ডুবে যায় সেটি। কিন্তু কী কারণে এই দুর্ঘটনা তা বড় রহস্য।
২০১৮ সালে সেই রহস্যের পর্দাফাঁস হয়। জানা যায়, ককপিট থেকে ছড়িয়েছিল আগুন। মনে করা হয়, ককপিটে বসে পাইলট সিগারেটে সুখটান দিচ্ছিলেন। যার ফলে অক্সিজেন মাস্ক লিক হয়ে পরিস্থিত জটিল হয়। তার থেকে দুর্ঘটনা ঘটে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমআইচ ৩৭০ মাঝ আকাশ থেকে নিখোঁজ হয় ২০১৪ সালের ৮ মার্চ। উড়ানের ৪০ মিনিট পর ট্রান্সমিশন আসা বন্ধ হয়ে যায়। শেষ পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, সুমাত্রা দ্বীপের দিকে ঘুরেছিল সেটি। তারপর আর খোঁজ মেলেনি। দীর্ঘ তদন্তের পর ২০১৮ সাল নাগাদ বিমানের তিনটি ভাঙা ডানা উদ্ধার হয়। কিন্তু কীভাবে, কোথায় ভেঙেছিল বিমানটি, তা এখনও অজানা।
১৯৬২ সালের ১৬ মার্চ নিখোঁজ হয় ৯৩ জন মার্কিন সেনা রেঞ্জার্স-সহ একটি ফ্লাইং টাইগার লাইন ফ্লাইট ৭৩৯। কিন্তু কেন নিখোঁজ হয়েছিল সেটি, তা আজও রহস্য।
১৯৫৭ সালে মাঝ আকাশ থেকে হারিয়ে যায় প্যান অ্যাম ফ্লাইট। সেইসময় অত্যন্ত বিলাসবহুল ছিল বিমানটি। হঠাৎই রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সেটি। পাঁচদিনের অনুসন্ধানের পর মার্কিন নৌসেনা কেরিয়ার হনুলুলুর প্রায় ১০০০ মাইল পূর্বে ভাসমান ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছিল এবং ১৯টি দেহ উদ্ধার হয়। বাকিদের খোঁজ মেলেনি।
৫৫ জন যাত্রী এবং ৩ জন ক্রু নিয়ে ডিসি-৪ প্রপ বিমানের পাইলট যখন ২৩ জুন মাঝরাতে মিশিগান হ্রদের কাছে পৌঁছন, তখন শক্তিশালী ঝড়ের মুখে পড়েছিল নর্থওয়েস্ট ওরিয়েন্ট এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ২৫০১। তারপর আর খোঁজ মেলেনি। অনুসন্ধানেও চিহ্ন মেলেনি।
বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল-রহস্যের অপর নাম। ১৯৪৯ সালের ১৭ জানুয়ারি ব্রিটিশ সাউথ আমেরিকান এয়ারওয়েজ স্টার এরিয়েল হারিয়ে যায় সেই ট্রায়াঙ্গেলে। আর কোনও হদিশ মেলেনি।
ব্রিটিশ সাউথ আমেরিকান এয়ারওয়েজ নিখোঁজ হওয়ার এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ফের নিখোঁজ হয় আরেকটি বিমান। ৩১ জন যাত্রী নিয়ে স্টার টাইগার, আজোরেস থেকে বারমুডার আকাশসীমায় প্রবেশের কিছুক্ষণ আগে স্বাভাবিক রেডিও যোগাযোগ বজায় রেখেছিল। তবে বিমানটি কখনও অবতরণ করেনি এবং অ্যাভ্রো টিউডর বিমান থেকে কোনও দুর্যোগের বার্তাও আসেনি।
Published By: Paramita PaulPosted: 05:38 PM Jun 19, 2025Updated: 05:39 PM Jun 19, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ