Advertisement
চোখে আনন্দাশ্রু, 'কলঙ্কমুক্তি'তে হাই কোর্ট চত্বরে অকাল হোলি, মিষ্টিমুখ প্রাথমিক শিক্ষকদের
চাকরি বহালের রায় শুনে স্বস্তিতে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক।
আড়াই বছরেরও বেশি সময় পর আইনি জয়। চাকরিতে বহাল ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে খারিজ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়। স্বস্তিতে চাকরিপ্রার্থীরা। ছবি: সুখময় সেন।
রায় ঘোষণার আগে হাই কোর্ট চত্বরের পরিবেশ ছিল থমথমে। আশঙ্কা ছিল অশান্তিরও। তাই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয় আদালত চত্বর। তবে বেলা গড়ানোর পর চাকরি বহালের রায়ের পরই পরিবেশ বদল। ছবি: সুখময় সেন।
হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে উচ্ছ্বসিত প্রাথমিক শিক্ষকরা। আদালত চত্বরে যেন উৎসবের মেজাজ। অকাল হোলি পালন করেন তাঁরা। আবির খেলায় মেতে ওঠেন প্রাথমিক শিক্ষকরা। ছবি: সুখময় সেন।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ে সমাপতন। তাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। জয়োল্লাসে মিষ্টিমুখও করেন তাঁরা। আবার কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন। আনন্দাশ্রু যেন বাঁধ মানছে না তাঁদের। প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি, আজ যেন কলঙ্কমুক্ত হলেন তাঁরা। ছবি: সুখময় সেন।
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রায় ৪২৫০০ শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। তাতেই অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালের মে মাসে তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে চাকরি বাতিলের পরও তাঁদের কর্মরত থাকতে বলা হয়। বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। ছবি: সুখময় সেন।
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির জন্য ওঠে। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, একক বেঞ্চের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকছে। কিন্তু পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। একক বেঞ্চ ও ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য ও পর্ষদ।
তাঁদের অভিযোগ, সমস্ত পক্ষের বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তারপরই মামলাটি হাই কোর্টে পাঠানো হয়। শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, ডিভিশন বেঞ্চকে সমস্ত পক্ষের বক্তব্য শুনতে হবে। মামলাটি বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে আসে। গত ১২ নভেম্বর মামলাটির শুনানি শেষ হয়। রায়দান স্থগিত ছিল। বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান করে। ছবি: সুখময় সেন।
Published By: Sayani SenPosted: 08:36 PM Dec 03, 2025Updated: 08:36 PM Dec 03, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
