সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোট বড় বালাই। ভোটের বাজারে তাই অবসর বা বিশ্রামের কোনও সুযোগ নেই রাজনৈতিক নেতাদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমনিতেই পরিশ্রমী। ভোটের মরশুমে তিনি দ্বিগুণ উৎসাহে প্রচারে নেমে পড়েন। আসলে, নির্বাচনে বিজেপির সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত ক্যারিশমার উপর। তাই গেরুয়া শিবির চায়, প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তে জনসভা করাতে।
[আরও পড়ুন: ‘ভোট না দিলে চাকরিও দেব না’, মানেকা গান্ধীর মন্তব্যে চরম বিতর্ক]
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কর্মক্ষমতা নিয়ে বিরোধীরাও প্রশ্ন তুলতে পারেন না। পাঁচ বছরের কার্যকালে এখনও পর্যন্ত কোনও ছুটি নেননি মোদি। কিন্তু, কাজের চাপে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাসকেও ভুলে যাননি তিনি। প্রতিবছরই নবরাত্রির কটা দিন উপোস করেন মোদি। এবারে মুশকিল হল, নবরাত্রি পড়ে গিয়েছে এক্কেবারে ভোটের মুখে। এই গরমে উপবাস করা এমনিতেই কষ্টসাধ্য। তার উপরে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছোটাছুটির এই ধকল। তার উপর প্রধানমনন্ত্রীর যা বাচনভঙ্গী, প্রতিটি জনসভায় যে তীক্ষ্ণতার সঙ্গে তিনি বিরোধীদের আক্রমণ করেন, তাতে প্রচুর ক্যালোরি নষ্ট তাও বলার অপেক্ষা রাখে না।
[আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে ভোটে লড়বেন কলকাতা হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কারনান]
কিন্তু ওই যেন ভোটের বালাই, তাই ভোটারদের মন পেতে যাবতীয় কষ্ট উপেক্ষা করে একের পর এক জনসভা করে গিয়েছেন মোদি। বিজেপি সূত্রের খবর, নবরাত্রীর ৯ দিনে মোট ১৩টি রাজ্যে ২৩টি জনসভা করেছেন মোদি। ইম্ফল থেকে জুনাগড়, কোচবিহার থেকে কালিকট গোটা দেশে প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করেছেন মোদি মাত্র ৯ দিনে। নবরাত্রির ৯ দিনে প্রধানমন্ত্রী ওড়িশা, ছত্তিশগড়, বাংলা, ত্রিপুরা, মণিপুর, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, গুজরাট, গোয়া, বিহার, অসম এবং কেরলে সভা করেছেন। এই রাজ্যগুলির অধিকাংশেই বর্তমান তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার উপরে। এত জনসভার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক এবং একাধিক সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউ দিয়েছেন।
৬৮ বছর বয়সী নরেন্দ্র মোদি যে পরিমাণ পরিশ্রম করছেন ভোটের মরশুমে তা অবাক করছে তাঁর সমর্থকদেরও। গুণমুগ্ধরা বলছেন মোদি বলেই সম্ভব।
The post উপবাসেও ক্লান্তি নেই, নবরাত্রির মধ্যে তেরো রাজ্যে ২৩টি সভা মোদির appeared first on Sangbad Pratidin.