সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ৫ রাজ্যের নির্বাচন প্রক্রিয়া। ভোটমুখী ওই পাঁচ রাজ্যে করোনা টিকার শংসাপত্রে থাকবে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) ছবি। নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী এই পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে কো-উইন অ্যাপে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কাজ হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে। এর ফলে সার্টিফিকেট ডাউনলোড করলে আগের মতো সেখানে থাকবে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি। উল্লেখ্য, শনিবার পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
[আরও পড়ুন: কোভিড আবহে উত্তরপ্রদেশের ভোট ৭ দফায়, ৫ রাজ্যের নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা কমিশনের]
গত বছর এপ্রিল-মে মাসে বেশ কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ও একই পদক্ষেপ করেছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। প্রথম থেকেই কংগ্রেস অভিযোগ করে আসছে, টিকাকরণ প্রক্রিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে যতটা কাজে লাগানো হচ্ছে, মানুষের জীবন বাঁচাতে ততখানি কাজ হচ্ছে না। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়া-সহ অনেকেই মোদিকে বহুবার সরাসরি আক্রমণ করেছেন।
সম্প্রতি কেরল হাইকোর্টে টিকার সার্টিফিকেটে মোদির ছবি থাকা নিয়ে আপত্তি করে জনৈক ব্যক্তি মামলা করেছিলেন। যদিও ওই মামলায় আদালত, উলটে মামলাকারীকেই ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল। বিচারপতি জানিয়ে ছিলেন, মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। টিকার শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকতেই পারে।
[আরও পড়ুন: ৫ রাজ্যের ভোটে কড়া কোভিডবিধি কমিশনের, মিছিল-জনসভায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা, জোর ভারচুয়ালে]
প্রসঙ্গত, করোনা আবহে ৭ দফায় হবে উত্তরপ্রদেশের নির্বাচন (UP Elections)। মণিপুরে ভোট হবে ২ দফায়। পাঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড এবং গোয়ায় ভোট এক দফাতেই। শনিবারই পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে ৫ রাজ্যের নির্বাচন প্রক্রিয়া। ফল ঘোষণা ১০ মার্চ। শনিবার থেকেই চালু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, কোভিড (COVID-19) সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সমস্ত ভোটকেন্দ্রে স্যানিটাইজার, মাস্ক এবং গ্লাভসের ব্যবহার করা হবে। এই প্রথমবার করোনা আক্রান্তরা ভোট দিতে পারবেন পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে। ভোটকেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা কমিয়ে ১ হাজার ২৫০ জন করা হয়েছে। এর ফলে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৬ শতাংশ। মহিলাদের সুবিধার জন্য সমস্ত বিধানসভায় অন্তত একটি করে বুথ থাকবে শুধুমাত্র মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত। কিছু কিছু ভোটকেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন শুধু দিব্যাঙ্গরা।