কৃষ্ণকুমার দাস: কলকাতা পুরসভার (KMC) ভবানীপুর এলাকার ৭৩ নং ওয়ার্ডে পানীয় জলে বিষক্রিয়া। মৃত্যু হল একজনের, অসুস্থ বেশ কয়েকজন। মৃত ব্যক্তির নাম ভুবনেশ্বর দাস। তাঁর বয়স ৪৩ বছর। তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে কাজ করেন বলে খবর। এছাড়া আরও ৭ থেকে ৮ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উল্লেখ্য, এই ৭৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
জলে বিষক্রিয়ার এই ঘটনাটি যেহেতু পুরসভার শ্রমিক আবাসনে ঘটেছে, তাই অভিযোগের আঙুল উঠেছে সরাসরি পুরভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। কারণ, আবাসনের জল থেকে স্বাস্থ্য, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা পুরোটাই পুরসভা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। সোমবার দুপুরে স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, ”পানীয় জলের লাইনের সঙ্গে নিকাশি নালার সংযোগ ঘটে যাওয়ায় জলে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে যিনি মারা গিয়েছেন, তাঁর আগে থেকেই সিরোসিস অফ লিভার ছিল। পরে জলের বিষক্রিয়ার প্রভাবে মৃত্যু ত্বরান্বিত হয়েছে।” একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আরও ৬০ থেকে ৭০ জন সংক্রমিত হলেও তাঁদের হাসপাতালে ভরতি করতে হয়নি। পুরসভার তরফে প্রতি বাড়ি বাড়ি বিশুদ্ধ জলের পাশাপাশি ORS দেওয়া হচ্ছে। ঘটনা নিয়ে পানীয় জল সরবরাহ ও স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে দ্রুত রিপোর্ট চেয়েছেন পুরসভার মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। তিনি ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর রতন মালাকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ”ওঁর আরও আগে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ রাখা উচিৎ ছিল।আমাদেরও জানানো উচিৎ ছিল।”
[আরও পড়ুন: ‘কোনও নোটিস পাইনি’, আইকোর মামলায় হাজিরা নিয়ে মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের]
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে অনেক। কীভাবে নিকাশিনালার সঙ্গে পানীয় জলের লাইনের সংযোগ ঘটল, তা কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না কেউ। মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শ্রমিক আবাসনে। জল পান করতে কার্যত ভয় পাচ্ছেন সকলে। আতঙ্ক কাটাতে বিশুদ্ধ জল সরবরাহ করা হচ্ছে পুরসভার তরফে। তবে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দেখুন ভিডিও: