সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ের সঙ্গে হাসপাতালে নয় মাসের রাজ্য। নার্স-ডাক্তার হাসপাতালের পরিবেশ দেখে, খুদের এমন পরিস্থিতি যে, টানা ৮ ঘণ্টা ধরে থামানো যায়নি তার কান্না। এদিকে ছেলেকে সামলাতে অসুস্থ পরীমণির হিমশিম অবস্থা। শেষমেশ রাজ্যের কান্না থামাতে অভিনেত্রীকে কী করতে হল জানেন?
প্রসঙ্গত, মাতৃদিবসেই দুঃসংবাদ দেন পরীমণি। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে অভিনেত্রী। এদিকে বাড়িতে ছোট্ট রাজ্য। দুধের শিশু মা-কে ছাড়া একমুহূর্ত থাকতে পারে না। অগত্যা তাকেও নিয়ে আসা হয়েছে হাসপাতালে। আর সেখানেই খুদে রাজ্যের কাণ্ডে তোলপাড়!
[আরও পড়ুন: জয় জগন্নাথ! মোহর ও দুর্নিবারকে সঙ্গে নিয়ে পুরী ভ্রমণে প্রসেনজিৎ]
গায়ে ধুম জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হন পরীমণি। ফেসবুক পোস্টেই দিন কয়েক আগে, সেকথা জানান অভিনেত্রী। এদিকে বাড়িতে ছোট্ট রাজ্য মাকে ছাড়া কিছুতেই থাকতে চাইছিল না। অবশেষে তাকেও হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয়। তবে মায়ের সঙ্গে হাসপাতালের বিছানায় থেকে ভয়ংকর কান্নাকাটি শুরু করে রাজ্য। টানা ৮ ঘণ্টা ধরেও থামানো যায়নি তাকে। আসলে, মায়ের শরীরে ইঞ্জেকশন বা কোনওরকম ব্যান্ডেজও সহ্য করতে পারছিল না সে। এদিকে ছেলেকে নিয়ে নাজেহাল পরীমণি। তাই রাজ্যকে থামাতে তাঁর ক্যানোলা খুলে দেওয়া হয়।
সেই ঘটনার কথা ফেসবুকে শেয়ার করে পরীমণি লেখেন, “গতকাল ৮ ঘণ্টার মাথায় রাজ্যের কান্নার জন্যে আমার ক্যানোলা খুলে দেওয়া হয়। আজকে বাটারফ্লাই দিয়ে আমাকে অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। সেখানে এই ছোট্ট একটা ব্যান্ডেজও সে রাখতে দেবে না। সকালে ডাক্তার রুমে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য আমার গলা শক্ত করে জরিয়ে ধরে। থার্মোমিটারটা পর্যন্ত ওর সামনে বের করতে পারে না কেউ। আর কী লিখবো! গলাটা ধরে এলো কান্নায়…।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের ৯ মাসের জন্মদিন কেক কেটে পালন করলেন পরীমণি। এরপর মাতৃদিবসেই হাসপাতালে ভর্তিু হওয়ার দুঃসংবাদ দেন অভিনেত্রী।