সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত হিন্দুরাষ্ট্রই। দেশভাগের পরই হিন্দুরাষ্ট্র হয়ে গিয়েছে আমাদের দেশ। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যে তুঙ্গে বিতর্ক। বিরোধীরা বলছে, সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় ভাবাভাগে আঘাত করেছেন কৈলাস।
মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশে এক সাংবাদিক বৈঠকে কৈলাসকে হিন্দুরাষ্ট্র নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলে দেন, “স্বাধীনতার সময় দেশভাগই হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে। দেশভাগের পর একটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। সেই নতুন রাষ্ট্রের নাম হয় পাকিস্তান। আর বাকি অংশ হয়ে গিয়েছে হিন্দুরাষ্ট্র।” অর্থাৎ কৈলাসের বক্তব্য, দেশভাগ যেহেতু ধর্মের ভিত্তিতে হয়েছিল, তাই ভারত হিন্দুরাষ্ট্র।
[আরও পড়ুন: ‘পোলাও আছে, ঘিয়ের জন্য ঘেউ ঘেউ করছে’, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর নিশানায় DA আন্দোলনকারীরা]
কৈলাসের দাবি, এদের মুসলিমদের পূর্বসূরিরাও একসময় হিন্দুই ছিলেন। এ প্রসঙ্গে নিজের এক মুসলিম বন্ধুর প্রসঙ্গও টেনে আনেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ভোপালে তাঁর এক মুসলমান বন্ধু থাকেন। তিনি রোজ নিয়ম করে হনুমান চালিসা পাঠ করেন। শিব মন্দিরেও যান নিয়মিত। কারণ তিনি মনে করেন, তাঁর পূর্বপুরুষেরা একসময় হিন্দু ছিলেন। শুধু তাই নয়, যুবসমাজ যাতে বিপথে চালিত না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে একটি ‘হনুমান চালিশা’ ক্লাব তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৈলাস। তাঁর বক্তব্য, যে যুবসমাজ মাদকাসক্ত, তাঁদের আসক্তি থেকে দূরে সুস্থ জীবনে ফেরানোর চেষ্টা করবে এই সংগঠন।
[আরও পড়ুন: ‘পোলাও আছে, ঘিয়ের জন্য ঘেউ ঘেউ করছে’, মনোরঞ্জন ব্যাপারীর নিশানায় DA আন্দোলনকারীরা]
বস্তুত, হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান বিজেপি তথা আরএসএসের পুরনো এজেন্ডা। নিন্দুকেরা বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই সেই লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশে কাজ করে যাচ্ছে বিজেপি। সামনেই মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে কৈলাসের নতুন করে হিন্দুরাষ্ট্রের জিগির তোলাটা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভোটের আগে ফের ধর্মের নামে বিভাজনের চেষ্টা করছে বিজেপি।