শুভঙ্কর বসু: ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violation) মামলায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের DNA পরীক্ষার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁর দাদার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী ২২ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি।
পরিবারের দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রাণহানি হয় কাঁকুড়গাছির বিজেপি (BJP) কর্মী অভিজিৎ সরকারের। গত ২ জুলাই বিজেপি কর্মীর দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী গত ৫ জুলাই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয় তাঁর। তবে বিজেপি কর্মীর পরিজনরা দাবি করেন, অভিজিৎ সরকারের দেহ প্রায় পুরোপুরি বিকৃত হয়ে গিয়েছে। তাই তাঁকে শনাক্ত করা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High Court) মামলার শুনানিতে একই দাবি করেন মামলাকারীর আইনজীবী। সবদিক খতিয়ে দেখে অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অভিজিৎ সরকারের দাদার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতাল। তারপর সেই নমুনা পাঠানো হবে সেন্ট্রাল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেখানেই হবে নমুনা পরীক্ষা। এই পরীক্ষাটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। অভিজিতের দেহ শনাক্ত করার জন্য এই পরীক্ষা অত্যন্ত জরুরি বলেই মনে করছে আদালত।
[আরও পড়ুন: দলবদলের পথে বাবুল সুপ্রিয়? জল্পনা ওড়ালেন খোদ প্রাক্তন মন্ত্রী]
এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাত সদস্যের প্রতিনিধিদের মঙ্গলবারই রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার পাঁচ বিচারপতির কাছে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেয় তারা। এর আগে গত ২ জুলাই অন্তর্বর্তী রিপোর্ট জমা দেয় তারা। তবে সেদিন চূড়ান্ত রিপোর্ট জমার ক্ষেত্রে কিছুটা সময় চেয়ে নেয় তারা। সময় দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর মঙ্গলবার রিপোর্ট জমা দেয় তারা। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২২ জুলাই।