সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ত্রী পরকীয়ায় (Adultery) জড়িত। পাশাপাশি তিনি স্বামীর প্রতি নিষ্ঠুরতাও দেখিয়েছেন। তাই তাঁকে স্থায়ী খোরপোশ দেওয়া যাবে না। এক মামলায় এমনই রায় দিল পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্ট। বিচারপতি ঋতু বাহরি ও বিচারপতি নিধি গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ পারিবারিক আদালতের দেওয়া ডিভোর্স ডিক্রিও জারি রেখেছে।
জানা যাচ্ছে, ১৯৮৯ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। শেষ পর্যন্ত স্বামী ডিভোর্সের আবেদন করেন আদালতে। বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর স্ত্রী অত্যন্ত নিষ্ঠুর ও আক্রমণাত্মক। মহিলার বিরুদ্ধে স্বামীর আরও অভিযোগ, তিনি নিয়মিত স্বামীর পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির সদস্যদেরও অপমান করতেন। এমনকী স্বামীর বন্ধু ও আত্মীয়দের সামনেও তাঁর রোজগার নিয়ে খোঁটা দিতেন। এখানেই শেষ নয়। তাঁদের কোনও সন্তান না হওয়ায় স্বামীকে ‘নপুংসক’ও বলতেন স্ত্রী।
[আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় কে-পপের অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা, পদপিষ্ট হয়ে জ্ঞান হারালেন ৩০ জন]
এরই পাশাপাশি অভিযোগ, অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও ছিল মহিলার। কেবল অভিযোগ নয়, সমস্ত অভিযোগের সাপেক্ষেই যথেষ্ট প্রমাণ ও নথিই আদালতের কাছে জমা দিয়েছিলেন মহিলার স্বামী। পারিবারিক আদালত মহিলাকে ডিভোর্সের ডিক্রি দেওয়ার পরে তিনি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু উচ্চ আদালতও একই রায় বজায় রাখল। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিল, কোনও ভাবেই ওই মহিলাকে স্থায়ী খোরপোশ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া যাবে না তাঁর স্বামীকে।
তবে এই মামলায় মহিলার আইনজীবী ২০০৩ সালের একটি মামলার উদাহরণ সামনে রেখে দাবি করেছিল, যেন আদালত সেই মামলার রায়দানের বিষয়টি নজরে রেখে এখানেও তেমনই নির্দেশ দেয়। কিন্তু হাই কোর্ট সমস্ত আরজি উড়িয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলায় ওই মামলার কোনও নির্দেশ কার্যকর করা যায় না কারণ ক্ষেত্র দুটি এক নয়। একথা বলে হাই কোর্ট পারিবারিক আদালতের রায়ই জারি রেখেছে।