সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাজার বিরোধিতা সত্বেও শক্তির অভাবে সংসদে বিতর্কিত কৃষি বিলগুলির (Farm Bill 2020) পাশ হওয়া আটকাতে পারেনি কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতির কাছে আরজি জানিয়েও লাভ হয়নি। তিনিও বিতর্কিত এই বিলগুলিতে সই করে সেগুলিকে আইনে পরিণত করেছেন। তারপর একেবারে মাঠে নেমে শুরু হয়েছে আন্দোলন। কিন্তু কিছুতেই যখন কিছু হল না, তখন ঘুরপথে এই আইন কার্যকর হওয়া আটকাতে সচেষ্ট হল পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে এই আইনের পালটা বিধানসভায় তিনটি বিল পাশ করালেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং (Amarinder Singh)। সেই সঙ্গে সর্বসম্মতিক্রমে কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ করা হল পাঞ্জাব বিধানসভায়।
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) আগেই সংবিধানের ২৫৪(২) ধারা ব্যবহার করে অন্তত কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে এই আইন কার্যকর না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই পরামর্শ মেনেই কৃষক বিদ্রোহের এপিসেন্টার পাঞ্জাব রাজ্যে নয়া বিল পাশ করাল। এই তিনটি বিকল্প কৃষি বল সরাসরি কেন্দ্রের কৃষি বিলকে চ্যালেঞ্জ করছে। এই বিলগুলিতে বলা হয়েছে, সরকার কৃষকদের ফসল ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে কিনতে বাধ্য। কেউ ন্যূনতম সমর্থন মূল্যের কম ধান কিনলে তাঁর তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। বস্তুত, কৃষকরা যাতে সরকারি মান্ডির বাইরে ফসল বিক্রি করতে না পারেন তার সব বন্দোবস্তই করা হয়েছে নতুন আইনে।
[আরও পড়ুন: ‘সমস্ত জঙ্গি মাদ্রাসায় তৈরি হয়’, বিতর্কিত মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের বিজেপি মন্ত্রীর]
সেই সঙ্গে কেন্দ্রের কৃষি বিল বিরোধী একটা প্রস্তাবও পাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই আইনগুলি ভারতের সংবিধানের বিরোধী। কৃষি ক্ষেত্র যেখানে রাজ্য সরকারে এক্তিয়ারভুক্ত সেখানে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করে সংবিধান বিরোধী কাজ করছে। এই প্রস্তাব পেশের পর পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, কেন্দ্র তাঁর সরকার ভেঙে দিতে পারে। তবে, তাতে তিনি দমে যেতে রাজি নন। বিধানসভার অধিবেশন শেষে মুখ্যমন্ত্রী নিজে গিয়ে এই প্রস্তাব রাজ্যপালের কাছে জমা দিয়ে এসেছেন।