নিরুফা খাতুন: দ্রুত গতিতে ছোটে। ঠিক খরগোশের মতই। অবিকল খরগোশের মতই গৃহস্থের বাড়িতে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি চলাফেরা করছে। সিসিটিভিতে তাকে দেখে চিনতে ভুল হল না পুলিশের (Kolkata Police)। চুরির অভিযোগে ফের গ্রেফতার হল খরগোশ ওরফে অমিত সোনকার।
মেদিনীপুরে (Midnapore) ডাকাতির মামলায় জেলে ছিল অমিত। প্রায় ১০ বছর জেলে খাটে। দেড়মাস আগে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছিল। জেলে থাকাকালীন সে হয়তো শুধরে গিয়েছিল এমনটাই ভেবেছিল পরিচিতরা। কিন্তু সে বিন্দুমাত্র নিজেকে পরিবর্তন করেনি। জেল থেকে বেরিয়ে ফের অপরাধ জগতে ঢুকে পড়ে। বড়তলা থানার একটি গৃহস্থের বাড়িতে চুরির তদন্তে গিয়ে খরগোশের কীর্তি ফের সামনে আসে।
[আরও পড়ুন: যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষক ও খুনিদের বিয়েতে অনুমতি নয়, কড়া আইন আনছে ব্রিটেন]
সম্প্রতি উত্তর কলকাতায় বড়তলায় এক গৃহস্থের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে লুটপাট করে এক অজ্ঞাত ব্যক্তি। বাড়ির একতলা থেকে ১৫টি ঘড়ি, ৩টি ল্যাপটপ, রূপোর বাসনপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় চুরির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। চুরির তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন পুলিশ। তখন দেখেন এক ব্যক্তি দ্রুত গতিতে হাঁটাচলা করছেন। খুব ভালো করে সিসিটিভিতে চোরের হাঁটার গতি ও ভঙ্গি লক্ষ্য করতে থাকেন পুলিশ। চোরের হাঁটার গতি ও ভঙ্গি দেখেই অমিতকে চিহ্নিত করেন। এরপর উত্তর কলকাতার গোপন ডেরা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সূত্রে খবর, ছোটখাটো চেহারার অমিত দ্রুত গতিতে হাঁটতে পারে। তাই সকলের খরগোশ বলে পরিচিত। সিসিটিভিতে অমিতের মতই হাঁটছিল চোরটি। তারপরই উত্তর কলকাতায় তার গোপন ডেরাতে হানা দেওয়া হয়। পরিচিতরা জানান, জেলে থাকায় অমিত হয়তে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে ভেবেছিলাম। জেল থেকে বেরিয়ে তার মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছিল। কিন্তু সে যে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। বরং জেল থেকে ফিরে নতুন করে চুরি ডাকাতির ছক কষছিল সে।