সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জ্বালানি জ্বালায় জর্জরিত জনতা। ভোজ্য তেল, আনাজপাতির দামে ছেঁকা লাগছে পকেটে। এহেন পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। ফলে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের নীতিতে যে আশানুরূপ ফল মিলছে না তা স্পষ্ট।
বুধবার রিজার্ভ ব্যাংক জানিয়েছে, শুরুতেই মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৭ শতাংশ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা বেড়ে ৬.৭ শতাংশ দাঁড়াতে পারে। আরবিআইয়ের ‘মানিটারি পলিসি কমিটি’র বৈঠকের পর এটা স্পষ্ট যে মুদ্রাস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নিচে রাখার লক্ষ্যমাত্রা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বলে রাখা ভাল, ২০২২-২৩ সালের প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশে রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
[আরও পড়ুন: ‘নেত্রীর ভাষণে গর্বিত হোন’, হজরতকে নিয়ে মন্তব্যে নুপূর শর্মাকে সমর্থন নেদারল্যান্ডের নেতার]
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার ৭.৫ শতাংশ বলে পূর্বাভাস রিজার্ভ ব্যাংকের। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তা যথাক্রমে ৭.৪ ও ৬.২ শতাংশ থাকবে বলে পূর্বাভাস। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে আরবিআই জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫.৮ শতাংশ অর্থাৎ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যেই থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি খাদ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ।”
উল্লেখ্য, গত মে মাসের পরে ফের রেপো রেট অর্থাৎ ব্যাংকগুলিকে দেওয়া সুদের হার বাড়াল রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)। একধাক্কায় রেপো রেট (Repo Rate) বাড়িয়ে দেওয়া হল ৫০ বেসিস পয়েন্ট। যার ফলে রিজার্ভ ব্যাংকের নতুন রেপো রেট দাঁড়াচ্ছে ৪.৯০ শতাংশ। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে একথা জানান আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das)।
আগেই এসবিআইয়ের অর্থনীতিবিদরা জানিয়েছিলেন, দেশে মৃল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ রাশিয়ান-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russian-Ukraine War)। মূল্যবৃদ্ধির ৫৯ শতাংশ কারণই হল বর্তমান অস্থির আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি। এই অবস্থা সামাল দিতে গত মাসেই রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া আচমকা রেপো রেট, অর্থাৎ যে হারে স্বল্প মেয়াদে ব্যাংকগুলিকে ঋণ দেয়, সেই হার বাড়ায়।