সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতেই দুঃসংবাদ শোনালেন আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিভা। তাঁর মতে, গত দুবছরের তুলনায় আরও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে গোটা বিশ্বকে। তার কারণ মন্দার মুখে পড়বে এই বছরে বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশ। চিনের কোভিড সমস্যা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়বে বিশ্বের অর্থনীতিতে। তার জেরেই বৃদ্ধির হার কমবে, ফলে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শক্তিশালী দেশগুলি। প্রত্যক্ষভাবে না হলেও, নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বিশ্বের একাধিক দেশে।
২০২৩ সালে ধাক্কা খাবে আন্তর্জাতিক বৃদ্ধি, আগে থেকেই সেই ঘোষণা করেছিল আইএমএফ। গত বছর অক্টোবরেই সংস্থার তরফে বৃদ্ধির পূর্বাভাস করা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়, “২০২১ সালে বৃদ্ধির হার ছিল ৬ শতাংশ। পরের বছরে সেটা কমে ৩.২ শতাংশ হয়েছে। সেই ধারা মেনেই ২০২৩ সালে বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াবে ২.৭ শতাংশে। ২০০১ সালের পর এই প্রথমবার আন্তর্জাতিক বৃদ্ধির হার এতখানি ব্যাহত হবে। তবে আর্থিক মন্দা ও কোভিড অতিমারীর সময়ে আর্থিক বৃদ্ধির হার এইভাবেই কমে গিয়েছিল।”
[আরও পড়ুন: গাড়ির ভিতরেও পরতে হবে হিজাব, আন্দোলনের মাঝেই মহিলাদের কড়া বার্তা ইরানের]
একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে আইএমএফ প্রধান বলেন, “গত বছরের তুলনায় আর্থিক দুর্ভোগ আরও বাড়বে। অনুমান করা যায়, বিশ্বের এক তৃতীয়াংশই মন্দার কবলে পড়বে। তার কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও চিনের আর্থিক বৃদ্ধির গতি একেবারে কমে যাবে। তার প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বে। কিছু দেশ হয়তো সরাসরি মন্দার মুখে পড়বে না। কিন্তু সেখানকার মানুষের আর্থিক অবস্থার অবনতি হবে।” প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই ইউরোপের আর্থিক ভারসাম্য কিছুটা নষ্ট হয়েছে।
আইএমএফ প্রধানের মতে, চলতি বছরেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বরং যুদ্ধের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতে ধাক্কা খাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। অন্যদিকে, চিনে চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড। নতুন ভ্যারিয়েন্টের দৌরাত্ম্যে প্রতিদিন সেদেশের হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে কঠোর কোভিড বিধি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে চিনের সরকার। ক্রিস্টালিনা বলেছেন, “আগামী দু’মাসে চিনের অবস্থা আরও খারাপ হবে। তার জেরে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। চিনের প্রতিবেশী-সহ গোটা বিশ্বকেই আর্থিক মন্দার ফল ভুগতে হবে।”