সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খেলায় মন নেই। দিনরাত স্মার্টফোনে বুঁদ। কখনও দেখছে কার্টুন কিংবা রিলসে মগ্ন খুদে। ছোট্ট ছোট্ট আঙুলে দিনরাত মোবাইল স্ক্রলিং করেই চলেছে। এই অভ্যাস মোটেও ভালো নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে হতে পারে চোখের সমস্যা। রিলস দেখার ফলে ধৈর্যও কমতে পারে। বকাঝকা করলে এই অভ্যাস ছাড়া সম্ভব নয়। তবে বিকল্প পথে বদভ্যাস কাটানো সম্ভব। রইল টিপস।
স্মার্টফোনের বদলে সন্তানের হাতে তুলে দিন ক্রাফট ক্লে। তা দিয়ে আপনি নানা জিনিসপত্র তৈরি করতে শেখান। ধীরে ধীরে আগ্রহ বাড়বে খুদের। সৃজনশীলতা বাড়বে। তবে কেনার আগে খেয়াল রাখতে হবে ওই ক্রাফট ক্লে যেন নন টক্সিক হয়। তাতে খুদে মুখে দিলেও কোনও ক্ষতি হবে না।
কাগজ দিয়ে খুদেরা খেলাধূলা করতে ভালোবাসে। কাগজ দিয়ে নৌকা, প্লেন তৈরি করতে পারেন। কিংবা ফুল, ফলও তৈরি করতে পারে। খুদের সঙ্গে আপনাকে কিন্তু হাত লাগাতে হবে। তবেই বাড়বে তার সৃজনশীলতা।
খুদে এক জায়গায় বসে থাকতে পছন্দ করে না। কারণ, ওদের জীবনীশক্তি অনেক বেশি। তাই তাদের নানা কাজে ব্যস্ত রাখুন। শিশুকে ব্যায়াম করাতে পারেন। তাকে নিয়ে নাচ কিংবা গান গাইতে পারেন।
বর্তমান দিনে খুদেরা সুপারহিরোর প্রেমে মত্ত। তাকে সেরকম পোশাক দিতে পারেন। ওই ধরনের পোশাক পরে খেলাধূলা করলে তার ভালো লাগবে। মোবাইল থেকে সহজেই দূরে রাখা সম্ভব হবে।
স্মার্টফোনের বদলে বইতে বুঁদ হোক খুদে। তার হাতে ছবিওয়ালা বই তুলে দিন। দু'জনে বসে গল্প পড়ুন। তবে অবশ্যই গড়গড় করে পড়ে যাবেন না। গল্প বলার ছলে পড়ুন গল্পের বই। তাতে তার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হবে। বাড়বে জ্ঞানও।
খুদেকে আপনার সঙ্গে রান্নাঘরে ব্যস্ত রাখতে পারেন। আপনি সবজি কাটলে তাকে সেগুলি এগিয়ে দিতে বলুন। ঘর গোছালেও তাকে পাশে রাখতে পারেন। তাতে খুদের সময় কেটে যাবে। স্মার্টফোনের কথা ভাবারও সময় পাবে না।
বর্তমান যুগে নিঃসঙ্গতায় ভোগে বহু শিশু। সে কারণে স্মার্টফোনের উপর ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে তারা। ভবিষ্যতে যাতে খুদের ক্ষতি না হয় তাই উপরোক্ত টিপসগুলি কাজে লাগিয়ে স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে হবে তাকে।
