সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট ছোট সংসার। বাবা, মা আর সন্তান। বর্তমানে বেশিরভাগ বাবা-মা আবার কর্মজীবী। সকলে যে ৯টা-৫টার চাকরি করেন তা নয়। প্রতিযোগিতার যুগে চাকরি জীবনে টিকে থাকতে হলে অফিসের পরেও সামলাতে হয় অনেক দায়িত্ব। সঙ্গে আবার ঘরের কাজ। সব দায়িত্ব পালন করতে করতেই যেন দিন শেষ। তার ফলে না চাইলেও খুদের সঙ্গে বাবা-মায়ের সেভাবে সময় কাটানো হয় না। তাতে বাবা-মা যে কষ্ট পান না তা নয়। আবার সন্তানেরও মনখারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। তবে একটি রুটিন তৈরি করে নিলেই নাকি 'কোয়ালিটি টাইম' কাটানো হবে আরও সহজ। কীভাবে কাটাবেন, আপনার জন্য রইল টিপস।
* আপনার ঘুমে খানিকটা ব্যাঘাত ঘটলে হোক। তবে চেষ্টা করুন নিজে খুদের ঘুম ভাঙানোর। দাঁত মাজিয়ে স্কুল যাওয়ার জন্য তৈরি করে দিন। টিফিন বানিয়ে দিন নিজে হাতে। খানিকটা সময় থাকলে তাকে স্কুলে পৌঁছে দিতে পারেন।
* খুদের জন্য অল্প সময় কাটালেও সে খুশি হতে পারে। তবে সেই মুহূর্ত যেন আনন্দদায়ক হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। একসঙ্গে ছবি আঁকতে পারেন। কিংবা তাকে জড়িয়ে ধরতে পারেন। ঘুমোতে যাওয়ার সময় সারাদিন কী করল খুদে, তা নিয়ে মিনিট দশেক গল্প করতে পারেন।
* বাড়ি না থাকলেও খুদের কথা সারাক্ষণ মনে পড়ে। মা-বাবা দিনরাত সন্তানকে নিয়ে চিন্তা করেন। সন্তানও মিস করে তাঁদের। তবে প্রযুক্তির যুগে দূরে থেকেও পাশে থাকা সম্ভব। যে বা যিনি সন্তানের দেখভাল করছেন তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে ভয়েস মেসেজ পাঠাতে পারেন। কিংবা কাজের ফাঁকে একটু ভিডিও কল সেরে নিতে পারেন। তাতে খুদে খুশি হবে। আপনাকে মিস করার যন্ত্রণাও খানিকটা লাঘব হতে পারে তার।
* ব্যস্ততা থাকলেও, খেয়াল রাখবেন সন্তানকে ভালো রাখা আপনারই দায়িত্ব। তাই তার জন্য সপ্তাহে একদিন একটু বেশি সময় বের করতেই হবে। ওইদিন আপনি সন্তানকে নিয়ে বেড়াতে যেতে পারেন। কিংবা যান না কোথাও খেয়ে আসুন। বাড়ি থেকে বেরতে না চাইলে তাকে নিয়ে সিনেমা দেখুন কিংবা ভালো গান শুনুন। আপনার সন্তান একেবারে ছোট হলে তার সঙ্গে স্রেফ খেলায় মাতুন। তাতে দেখবেন সে খুশি হবে।
মনে রাখবেন, আজ যে ছোট। যাকে সামলাতে এত ঝক্কি। একদিন সে বড় হয়ে যাবে। তৈরি হবে তার নিজের গণ্ডি। নিজের জগতে মেতে যাবে। কিন্তু আপনার বয়স বাড়বে। চারপাশের ব্যস্ততা কমবে। সেদিন সন্তানই হবে আপনার 'অন্ধের যষ্টি'। তবে আজ তাকে সময় না দিলে, ভবিষ্যতের দিনগুলিতে তার সঙ্গে তেমন মনের টান তৈরি হওয়া মুশকিল। তাই চাকরি, সংসার, হাজারও দায়িত্ব কর্তব্য সামলে তাকে সময় দিন। তৈরি করুন বাবা-মা-সন্তানের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। কাছের মানুষ বিশেষত নিজের সন্তান ভালো থাকলে, আপনার মন থাকবে ফুরফুরে। তার ফলে কাজও ভালোই হবে।