সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রথ চলেছে পথ ছেড়ে দাও। ছোট্ট-মাঝারি রথ। সুন্দর করে ফুল, বাহারি পাতা দিয়ে সাজানো। দড়ি ধরে পাড়ার গলি থেকে রাজপথের দিকে রথ টানছে কচি-কাঁচারা। এই দৃশ্য কারও কাছেই অজানা নয়। অন্যদিকে রথের সকাল থেকেই টিভির পর্দায় পুরীর রথযাত্রা। অবশ্য অনেকেই এই রথ দেখতে ছুট্টে যান পুরীতে। তবে এবারের রথের চিত্র একেবারেই আলাদা। করোনা আবহে রথের পুরীর জনপ্রিয় রথযাত্রার আড়ম্বর খুবই সামান্য এবার। গত বৃহস্পতিবার জগন্নাথের স্নানযাত্রা শেষ হয়েছে। পুরীর এই রথযাত্রা নিয়ে রয়েছে প্রচুর গল্প। রথযাত্রায় অনুষ্ঠিত প্রতিটি রীতির নেপথ্যে রয়েছে বহু গল্প। যা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মতো। যেমন,
[আরও পড়ুন : অম্বুবাচী তিথি চলাকালীন এই আচার পালন করছেন? জেনে নিন শাস্ত্রের বিধান]
রথযাত্রায় জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরামের তিনটি রথের আলাদা নাম রয়েছে। জগন্নাথের রথটির নাম নন্দীঘোষ, বলরামের রথটির নাম তালধ্বজ, সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন।
শুধু নামই নয়, তিনটি রথের চাকার সংখ্যাও এক নয়। যেমন, জগন্নাথের রথের চাকার সংখ্যা ১৬, বলরামের রথের চাকার সংখ্যা ১৪, সুভদ্রার রথের চাকার সংখ্যা ১২।
এমনকী, প্রত্যেকটি রথের আলাদা রংও রয়েছে। বিষ্ণু অবতারের কথা মাথায় রেখেই জগন্নাথের রথের রং করা হয় লাল-হলুদ। এই দুই রং আসলে বিষ্ণুর পছন্দের রং। বলরামের রথের রং লাল-সবুজ। অন্যদিকে, সুভদ্রার রথের রং লাল ও কালো।
তিনটি রথে যে ঘোড়া ব্যবহার করা হয় তাদের রয়েছে আলাদা আলাদা নাম। জগন্নাথের রথের চারটি ঘোড়ার নাম শঙ্খ, বলহাকা, শ্বেতা, হরিদশ্ব। বলরামের চারটি ঘোড়ার নাম তীব্র, ঘোড়া, দীর্ঘশর্মা, স্বরনাভ। সুভদ্রার চারটি ঘোড়ার নাম রুচিকা, মোচিকা, জিতা ও অপরাজিত। শুধু আলাদা নাম নয়, ঘোড়ার রঙেও রয়েছে তারতম্য। জগন্নাথের রথের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় সাদা রঙের ঘোড়া, বলরামের রথের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় কালো রঙের ঘোড়া। সুভদ্রার ঘোড়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় লাল রঙের ঘোড়া।
রথযাত্রায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা একা থাকেন না। তাঁদের সঙ্গে সহযাত্রী হিসেবে থাকেন অন্য দেব-দেবীও। যেমন, জগন্নাথের সঙ্গে থাকেন মদনমোহন, বলরামের সঙ্গে থাকেন রামকৃষ্ণ, সুভদ্রার সঙ্গে থাকেন সুদর্শনা।
[আরও পড়ুন: ‘বলি ও ননদি, আর দু’মুঠো চাল ফেলে দে হাঁড়িতে’, গানে গানে শুভেচ্ছা জানালেন ‘জামাই’ মদন]