shono
Advertisement

করোনার পাশে লেখা যাবে না ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’শব্দটি, সোশ্যাল মিডিয়াকে নির্দেশ কেন্দ্রের

এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক।
Posted: 02:13 PM May 22, 2021Updated: 02:13 PM May 22, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার (Covid-19) B.1.617 স্ট্রেইন মোটেই ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ নয়। করোনার অন্যতম ভয়ংকর এই স্ট্রেইনকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। আর তাই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের যে সমস্ত কনটেন্ট বা প্রতিবেদনে এই নয়া স্ট্রেইনকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বা ডাকা হয়েছে বা উদ্ধৃত করা হয়েছে, সেগুলি অবিলম্বে সরিয়ে দেওয়া হোক। শুক্রবার এই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার।

Advertisement

শুক্রবার কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, করোনার B.1.617 ভ্যারিয়েন্টকে কখনওই ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট আখ্যা দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু। অথচ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের একাধিক পোস্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভয়ানক হয়ে ওঠা B.1.617 ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ বলা হয়েছে। একাধিক ভুয়ো পোস্ট ছড়ানো হচ্ছে। অবিলম্বে সেই পোস্টগুলিকে মুছে ফেলতে হবে। এমনকী এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাই যত দ্রুত সম্ভব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে এই নির্দেশ মানতে হবে।

[আরও পড়ুন: করোনা কালেই আড়াই লক্ষ SBI কর্মী পেতে চলেছেন ১৫ দিনের অতিরিক্ত বেতন!]

প্রসঙ্গত, গত বছর অক্টোবর মাসে ভারতেই B.1.617 স্ট্রেনের হদিশ প্রথম মিলেছিল। মারণ ভাইরাসটির এই প্রজাতি অতি সংক্রামক। এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের শরীরে দ্রুত ছড়াতে পারে। আগের থেকে সংক্রামক ক্ষমতা বাড়ানোই শুধু নয়, সম্ভবত এর ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) প্রতিরোধ ক্ষমতাও আগের থেকে খানিকটা বেড়েছে। যার অর্থ, ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলেও করোনার প্রথম স্ট্রেনের তুলনায় দ্রুতহারে সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম এই স্ট্রেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে এটিকে ভারতীয় স্ট্রেনের উল্লেখ না করলেও এটি যে প্রথম ভারতেই পাওয়া গিয়েছিল, তা উল্লেখ করেছিলেন করোনা বিরোধী বিভাগের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরকভ। শুধু তাই নয়, এই B.1.617 স্ট্রেন ইতিমধ্যেই ৪৪টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তা গোটা বিশ্বের করোনা চিত্র বদলে দিতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই রিপোর্টে। এরপরই কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওই রিপোর্টে ভারতীয় শব্দটির উল্লেখই নেই। সংবাদ মাধ্যমে অকারণেই ‘ভারতীয়’ শব্দটি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই এটা পুরোপুরি ভুয়ো খবর। কোনওভাবেই B.1.617 স্ট্রেনটি ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট’ নয়। এবার তাই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে এই নির্দেশ কেন্দ্রের।

[আরও পড়ুন: সুখবর! ভ্যাকসিনের ঘাটতি মেটাতে রুশ করোনা টিকা স্পুটনিক ভি এবার তৈরি হবে ভারতেই]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement