সুব্রত বিশ্বাস: মহিলাকে দেখে চেনার উপায় নেই। তার মনের ভিতর কী রয়েছে। তবে ডিউকের চোখ বিশ্বাস করতে না চাইলেও নাক কিন্তু তাকে সতর্ক করে দেয় মহিলাকে দেখেই। হাওড়া স্টেশনে সেই মহিলা যাত্রীর পিছু নেয় ডিউক। ডিউকের আচরণে সন্দেহ হয় আরপিএফেরও। তারাও মহিলার উপর নজর রাখতে শুরু করে। পিছু নেয় আরপিএফও।
তবে ডিউকই পথ আটকে দু’টি ট্রলি ব্যাগ শুঁকে সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়। এরপরই আরপিএফের ডগ স্কোয়াড মহিলার ব্যাগ তল্লাশি করতেই বেরিয়ে আসে দামি সব বিদেশি মদ। দু’লক্ষ টাকার উপরে দামি এই মদ কলকাতার বিসালবহুল এলাকায় পাচার করার জন্য দিল্লি থেকে নিয়ে আসছিলেন সাথী বিশ্বাস নামের এক মহিলা। তাঁর সঙ্গে রাজেন্দ্র সিং নামের এক ব্যক্তিও ছিলেন। তবে আরপিএফ দেখে গা ঢাকা দেয় সে। ডিউক নামের এই স্নিফার ডগটির তৎপরতায় আটক হয় মদ-সহ দুই পাচারকারী।
[আরও পড়ুন: পাহাড়ের প্রার্থীদের জন্য SSC-তে বিশেষ সুবিধা চেয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ অনীত থাপার]
কৃষ্ণনগরবাসী সাথী আরপিএফকে জানিয়েছে, কলকাতা ও শহরতলির বিলাসবহুল এলাকায় বিভিন্ন এজেন্টের মাধ্যমে এই মদ যোগান দেওয়া হয়। যা দিল্লি থেকে সে নিয়ে আসছিল। মদ নিয়ে আসার জন্য তাঁকেও পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হয়। পূর্ব রেলের আরপিএফের আইজি পরম শিব জানান, ট্রেনে মদ পাচার চরমতম অপরাধ ও যাত্রী স্বার্থ বিরোধী। এজন্য আরপিএফের ‘অপারেশন সতর্ক’ দল রয়েছে।
ডিউক নামের স্নিফার ডগটি ভাল কাজ করায় তাকেও পুরস্কৃত করা হবে। শুধু দূরপাল্লা নয়, লোকাল ট্রেনেও মদ পাচারে সতর্ক করা হয়েছে আরপিএফকে। মঙ্গলবার গভীর রাতে আসানসোল স্টেশন থেকে তিন রেল ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে গুলি ভরতি রিভলভার, ছুরি, রড আটক করেছে আরপিএফ।