shono
Advertisement

টানা ১২০ ঘণ্টা তল্লাশি আয়কর দপ্তরের, কানপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে উদ্ধার বিপুল ‘গুপ্তধন’

পৈতৃক বাড়িতে মিলল ৪০টি লকার, ৫০০টি চাবির গোছা।
Posted: 12:40 PM Dec 27, 2021Updated: 04:24 PM Dec 27, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সপা ঘনিষ্ঠ কানপুরের (Kanpur) ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের (Piyush Jain) বাড়িতে আয়কর হানায় (Income Tax Raid) শেষ পর্যন্ত ২৫৭ কোটি টাকা উদ্ধার হল। দীর্ঘ ১২০ ঘণ্টা হানার পর হদিশ মিলল দেশে ও বিদেশের ১৬টি বহুমূল্য সম্পত্তিরও। কর ফাঁকিতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর পৈতৃক বাড়িতে পাওয়া গেল ৪০টি লকার, ৫০০টি চাবির গোছা। সাম্প্রতিককালে আয়কর বিভাগের এত বড় সফল হানার উদাহরণ নেই।     

Advertisement

কানপুরের পীযূষ জৈন বিভিন্ন রকম ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হলেও প্রধান ব্যবসা সুগন্ধীর। তাঁর বিরুদ্ধে বিস্তর বেনিয়মের অভিযোগ ছিল। সেই সূত্রেই বৃহস্পতিবার রাতে ইডি এবং আয়কর বিভাগের আধিকারিকরা যৌথভাবে হানা দেন পীযূষের বাড়িতে। সেই সঙ্গে হানা দেওয়া হয় পীযূষের কয়েকটি অফিসেও। শেষ পর্যন্ত আয়কর এবং ইডি (ED) আধিকারিকদের যৌথ অভিযানে ২৫৭ কোটি টাকা উদ্ধার হল। কয়েক দিন ধরে সেই টাকা গুনতে হিমশিম খেলেন আয়কর বিভাগের কর্মীরা।

আয়কর সূত্রে জানা গিয়েছে, আলাদা আলাদা জায়গায় পীযূষের ১৬টি বহুমূল্য সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে চারটি সম্পত্তি রয়েছে কানপুরে, কনৌজে রয়েছে সাতটি ও একটি সম্পত্তি রয়েছে দিল্লিতে। এছাড়াও আরও দুটি সম্পত্তি রয়েছে দুবাইয়ে।

[আরও পড়ুন: কানপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানায় উদ্ধার রাশি রাশি টাকা, ২৪ ঘণ্টা ধরে গুনলেন আধিকারিকরা]

পীযূষ জৈনের পৈতৃক বাড়িতে হানা দিয়ে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন আয়কর বিভাগের কর্মীরাও। ওই বাড়িতে ১৮টি লকার খুঁজে পান তাঁরা। এইসঙ্গে মেলে ৫০০টি চাবির গোছা। আয়কর হানার সময় জানা গিয়েছে, নামে ও বেনামে মোট ৪০ কম্পানি চালাতেন অভিযুক্ত।

উল্লেখ্য, নগদ ২৫৭ কোটি টাকা ছাড়াও কয়েক কিলোগ্রাম সোনা পাওয়া গিয়েছে অভিযুক্ত ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে।পীযূষ জৈনকে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, গ্রেপ্তারির আগে ৫০ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় ধনকুবের ব্যবসায়ীকে।

[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে সপার শীর্ষনেতাদের বাড়িতে আয়কর হানা, অখিলেশ বললেন, ‘আমিও অপেক্ষায় আছি’]

প্রসঙ্গত, পীযূষ জৈনের সুগন্ধীর ব্যবসা ছাড়াও কোল্ড স্টোর, একাধিক পেট্রল পাম্প এবং একাধিক গুটখা তৈরির কারখানা আছে। বেনামি সম্পত্তি, ভুয়ো ইনভয়েস দিয়ে জিনিস পাঠানো, ই-ওয়ে বিল ছাড়া জিনিস পাঠানো এবং হিসাব বহির্ভূত টাকা রাখার মতো অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement