সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙিয়ে দলবদলের টোপ দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় বিজেপি (BJP)। বিধায়ক ভাঙাতে ৪০ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই অভিযোগ করে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিরীশ চডঙ্করের বক্তব্য, বিভিন্ন শিল্পপতি ও কয়লা মাফিয়াদের দিয়ে ফোন করানো হচ্ছে কংগ্রেস বিধায়কদের।
গোয়ার রাজনীতিতে (Goa Politics) বিধায়ক কেনাবেচা একেবারেই নতুন কিছু নয়। পার্শ্ববর্তী রাজ্য মহারাষ্ট্র দখলের পর বিজেপির নজর ছিল গোয়ায়। এই মুহূর্তে গোয়ায় বিজেপির সরকার থাকলেও মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তর পার্টির সমর্থন নিতে হচ্ছে তাঁদের। বিজেপি (BJP) বিধানসভায় নিজেদের শক্তি আরও বাড়িয়ে নিতে চাইছে। তাই কংগ্রেসের গোটা পরিষদীয় দলটিকেই নিজেদের দলে ভেড়াতে চাইছিল। এমনটাই অভিযোগ করেছে কংগ্রেস (Congress)।
[আরও পড়ুন: গোয়ায় বড়সড় ভাঙনের মুখে কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন একাধিক নেতা, তুঙ্গে জল্পনা]
গিরীশ চডঙ্করই জানিয়েছেন, দলের অন্দরে থেকে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত এবং গোয়া বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মাইকেল লোবো। এরাই সদলবলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তড়িঘড়ি মুকুল ওয়াসনিককে গোয়ায় পাঠিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। রবিবার গোয়ায় কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকেছিলেন এআইসিসির (AICC) সাধারণ সম্পাদক দীনেশ গুণ্ডুরাও। তাতে ১১ জন বিধায়কের মধ্যে মাত্র ৬ জন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গেই কথা বলেছেন ওয়াসনিকরা। কংগ্রেসের দাবি, অন্তত এই ছ’জন বিধায়কের দলত্যাগ রোখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: এবার বিজেপির নিশানায় মেধা পাটেকর! অনুদানের টাকায় দেশবিরোধী প্রচারের অভিযোগে দায়ের মামলা]
কিন্তু জল্পনা চলছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত-সহ ছ’জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। অথচ, ভোটের আগে এই বিধায়করাই মন্দির, মসজিদ, চার্চে গিয়ে শপথ নিয়েছিলেন যে ভোটের পর তাঁরা দলবদল করবেন না। দলত্যাগের পরিকল্পনার যিনি মূল চক্রী সেই দিগম্বর কামাত এক সময় গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে ছিলেন। গোয়া কংগ্রেসের চরম দুঃসময়েও দলের সঙ্গে ছিলেন। ক্ষমতায় ফিরলে গোয়ায় কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদারও তিনিই হতে পারতেন। তিনিই হঠাৎ বিজেপির সঙ্গে হাত কেন মেলাবেন? জবাব পাচ্ছে না কংগ্রেস। যড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার জন্য রবিবার কংগ্রেস বিরোধী দলনেতার পদ থেকে মাইকেল লোবোকে সরিয়ে দিয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সদানন্দ তানাভড়ে অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।